করোনা শরীরে বাসা বাঁধা মানে, কোনও না কোনও অরগ্যানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, এমন কিছু রোগী আছেন, যারা করোনা আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝোঁক বেড়ে যায়।
করোনার জেড়ে এখনও নাজেহাল সকলে। যতই ভ্যাকসিন (Vaccine) আবিষ্কার হোক, এখনও পুরোপুরি মুক্তি মেলেনি করোনা থেকে। এখন প্রতিদিন কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। আবার কেউ কেউ প্রাণ হারাচ্ছেন। এই রোগের প্রকোপে একবার পড়া মানে একাধিক সমস্যা। করোনা জয় করলেই যে মুক্তি মিলবে এমন নয়। করোনা শরীরে বাসা বাঁধা মানে, কোনও না কোনও অরগ্যানের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। এছাড়া, এমন কিছু রোগী আছেন, যারা করোনা আক্রান্ত হলে মৃত্যু ঝোঁক বেড়ে যায়।
গবেষণা বলছে, যাদের কিডনির (Kidney) কোনও রকম অসুখ আছে, তাদের করোনা হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আসল কিডনির অসুখ থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) কমে যায়। এক্ষেত্রে, করোনা (Corona)শরীরে বাসা বাঁধতে তা সহজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এর ফলে, করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রতি, ৩২ জন রোগীর ওপর গবেষণা করা হয়। যারা ডায়ালেসিস করেন অথবা কিডনি (Kidney) টান্সফার করেছেন। দেখা গিয়েছে, তাদের ইমিউনিটি (Immunity) সেল কম ছিল, আর রোগীদের শরীরে লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট নামক রোগ প্রতিরোধ কোষ কম ছিল। দেখা গিয়েছে, এই সকল রোগীর শরীরে করোনা খুব সহজেই প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে। তাই রোগ থেকে বাঁচতে সবার আগে কিডনি সুস্থ রাখুন।
আরও পড়ুন: এই ৫ পুষ্টিগুণ, যা শীতকালে আপনার শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন
আরও পড়ুন: Ear Pain in Winter: ঠাণ্ডায় কান ব্যাথাকে অবহেলা নয়, ফল হতে পারে মারাত্নক
আমাদের নিজেদের ভুলেই এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে। নিয়মিত আমরা এমন কয়টি খাবার (Food) খাই, যা ঝোঁক বাড়ায় কিডনির রোগের। কাঁচা নুন (Salt) শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা জেনেও আমরা কাঁচা নুন খাই। নুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ (Immunity Power) ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। একদিকে কিডনির রোগ হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আবার নুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমে। তাছাড়া, প্রসেসড ফুড থেকে হচ্ছে কিডনির রোগ। প্রতিদিনই সকলের খাদ্যতালিকায় থাকে একাধিক প্রক্রিয়াজাত খাবার। এই সকল খাবারে থাকে উচ্চ ফসফরাস। যা শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ডায়াবেটিস (Diabetes), উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure), ইউরিন ইনফেকশন (Urine Infection) থেকে হতে পারে কিডনির রোগ। তাই কোনও রকম রোগ (Disease) দেখা দিতে সবার আগে ডাক্তার দেখান। আর সুস্থ থাকতে চাইলে একেবারেই ত্যাগ করুন ধূমপান (smoking) ও মদ্যপান(Alcohol)। তবেই সুস্থ থাকবেন।