বহু মানুষ ভুগছেন ডায়াবেটিসে (Diabetes)। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী আজ ঘরে ঘরে। বছরের শেষে একাধিক পার্টি (Party), পিকনিক (Picnic) কিংবা আউটিং-এর (Outing) পরিকল্পনা থাকে। নিয়ম বহিঃভূত খাওয়া-দাওয়া হয়। ফলে, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়তে থাকে। এই সময় কয়টি জিনিস মেনে চলুন।
কম-বেশি সকলের শরীরেই বাসা বেঁধেছে একাধিক রোগ (Disease)। এর মধ্যে প্রেসার, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা যেমন আছে, তেমনই বহু মানুষ ভুগছেন ডায়াবেটিসে (Diabetes)। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী আজ ঘরে ঘরে। শুধু বয়ষ্করা নন, এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বাচ্চারাও (Kids)। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু ওষুধ খেলেই হয় না। সঙ্গে মেনে চলতে হয় কয়টি নিয়ম। সঠিক খাওয়া-দাওয়া (Food Habits) আর জীবনযাত্রা (Lifestyle) এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এদিকে বছরের শেষে একাধিক পার্টি (Party), পিকনিক (Picnic) কিংবা আউটিং-এর (Outing) পরিকল্পনা থাকে। নিয়ম বহিঃভূত খাওয়া-দাওয়া হয়। ফলে, ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়তে থাকে। এই সময় কয়টি জিনিস মেনে চলুন।
বাড়ির বাইরে যাই খাওয়া হোক, ঘরে সঠিক খাদ্যগ্রহণ (Food) করুন। লেবু (Orange), শস্য, শাকসবজি (Vegetables) খান প্রচুর। ওটস, ডালিয়া, গমেপ আটা, ব্রাউন রাইস খান। এতে শরীর সুস্থ থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকবে। তাই যদি এসময় উলটো-পাল্টা খাবার খান, তার খারাপ প্রভাব পড়বে না।
সব বাঙালি বাড়ির ফ্রিজে সব সময় মিষ্টি (Sweets) মজুত। বাঙালিরা অতিথি আপ্যায়ন সবার আগে দেয় মিষ্টি। কিন্তু, চেষ্টা করুন মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় ড্রিংক্স (Drinks) না খেতে। পার্টিতে গেলেও মদ্যপান করবেন না। এতে সুগার আরও বেড়ে যায়।
যতই ঘুরতে যাওয়া প্ল্যান থাকুন, সময় বের করে অবশ্যই এক্সারসাইজ (Exercise) করুন। অল্প সময়ের জন্য হলেও এক্সারসাইজ করবেন। বিরতি দিলে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পাবে। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন এক্সারসাইজ করা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজন।
রোজ সকালে খাটে খালি পেটে জিরের জল খান। রাত এক কাপ জলে জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে তা ছেঁকে পান করুন। এছাড়া, তিন থেকে চার বার গ্রিন টি (Green Tea) খান। এটা শরীরের জন্য খুবই উপকার। গ্রিন টি খেলে মেটাবজিম মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খাদ্যতালিকা থেকে শরীরচর্চা- নজর থাক সর্বত্র, শীতে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই টোটকা
চেষ্টা করুন ভাজাভুজি ও রেস্তোরাঁর (Restaurants) খাবার কম খেতে। এই সময়টা সকলেরই বাইরে খাওয়া হয়ে যায়। এক্ষেত্রে, কম পরিমাণ খাবার খান। যতটা পাড়বেন বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবারে অধিক চিনি ও অধিক নুন থাকে। যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মোটেও ভালো নয়।
বর্ষশেষের আনন্দ বলতে পার্টি (Party)। রোজই রয়েছে পার্টির প্ল্যান। রোজ বাড়ি ফিরছেন রাত করে। এতে শরীর খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। তাই সঠিক সময় বাড়ি ফিরুন। তা না হলে আপনারই শারীরিক জটিলতা বাড়বে।