রসুনের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী গুণ রয়েছে। ফসফরাসের মতো উপাদান এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পাওয়া যায়, যা অনেক রোগের চিকিৎসায় কার্যকর।
খাবারকে সুস্বাদু করার পাশাপাশি রসুন স্বাস্থ্যকরও বটে। রসুনের মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক ঔষধি গুণ, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রসুন প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আগে যে কোনও রোগ হলে দিদা-ঠাকুমারা প্রথমে রসুন খাওয়াতেন, বিশেষ করে শীতের দিনে প্রতিটি খাবারে রসুন দিতেন তাঁরা। কারণ রসুনের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী গুণ রয়েছে। ফসফরাসের মতো উপাদান এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পাওয়া যায়, যা অনেক রোগের চিকিৎসায় কার্যকর।
রসুন খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়
হৃদরোগীদের জন্যও রসুন উপকারী। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। রোজ ভাজা বা কাঁচা রসুন খেলে হৃদযন্ত্র মজবুত হয় এবং অনেক হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
রসুন পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এটি হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। যার কারণে পেটে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হয় না। সঠিক হজমের কারণে অনেক রোগ নিজে থেকেই চলে যায়। প্রতিদিন খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরকে ডিটক্স করে এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। রসুন খেলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
রসুন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি আসে। যারা নিয়মিত সেবন করেন তারা সুস্থ থাকেন। খালি পেটে রসুন খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি ডায়াবেটিসেও উপকারী। অনেক বিশেষজ্ঞ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- ত্বকের লাবণ্য বজায় রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন এগুলি, জেনে নিন খাওয়ার পদ্ধতি
আরও পড়ুন- ব্লিচ করার পর ত্বকে জ্বালা পোড়া করে, এই ঘরোয়া উপায়গুলি মেনে তবেই ব্যবহার করুন
আরও পড়ুন- সব সময় স্পাইসি খাবার খেতে ইচ্ছে করে, তবে জেনে নিন এর আসল কারণ
এটি শ্বাসযন্ত্রকেও শক্তিশালী করে। সর্দি, কাশি ও কফের সমস্যা নেই। প্রতিদিন খালি পেটে রসুন খেলে হাঁপানি ও যক্ষ্মা রোগের ঝুঁকি কমে না। বর্ষা ও ঠান্ডার দিনে রসুন বেশি খাওয়া হয়, যাতে ঠান্ডা এড়ানো যায়।
রসুনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চোখকে শক্তিশালী করে এবং তাদের আলোকে উন্নত করে। প্রতিদিন রসুন খেলে কিডনি এবং পুরো রেচনতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করে। এটি খেলে কিডনি সংক্রমণের ঝুঁকিও নেই।