নানা কারণে দেখা দেয় মানসিক অবসাদ (Depression)। তবে, সঠিক সময় এই অবসাদ নিয়ন্ত্রণ করুন। জেনে নিন কীভাবে মানসিক অবসাদ (Depression) নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
মানসিক চাপ (Mental Stress), মানসিক অবসাদ (Depression) নতুন কোনও বিষয় নয়। এই সমস্যায় (Problems) কম-বেশি অনেকেই ভুগছে। কিন্তু, জানেন কী, মানসিক অবসাদ সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে এর থেকে দেখা দিতে পারে বড় সমস্যা। এই অবসাদের (Depression) জন্য বহু মানুষ আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছে। নানা কারণে দেখা দেয় মানসিক অবসাদ। কখনও কাজের চাপ (Work Pressure), কখনও চাকরি (Job) না পাওয়া, কখনও পরিবারিক সমস্যা, কখনওবা মানুষ নিজের ইচ্ছেয় এই রোগ ডেকে আনে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করার জন্য দেখা দিতে পারে মানসিক অবসাদ (Depression)। তবে, সঠিক সময় এই অবসাদ নিয়ন্ত্রণ করুন। তা না হলে সম্মুখীন হতে পারেন বড় সমস্যার। জেনে নিন কীভাবে মানসিক অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
অবসাদগ্রস্থ লাগলে গান শুনুন। গান (Music) শুনলে মন হালকা হয়। যে ধরনের গান পছন্দ, সেধরনের গান শুনুন। অবসাদ কাটাতে এটা সব থেকে ভালো অস্ত্র। আজকাল মিউজিক থেরাপির (Music Therapy) মাধ্যমে নানা রকম চিকিৎসা করা হচ্ছে। একাধিক রোগ নিরাময় সম্ভব হচ্ছে গানের মাধ্যমে। তাই অবসাদ কাটাতে গান শুনুন। দেখবেন মন হালকা হবে।
ভুলেও কোনও বিষয় নেগেটিভ (Negative) কথা বলবেন না। যত নেগেটিভ কথা ভববেন, বা বলবেন তত অবসাদ আপনাকে গ্রাস করবে। তাই সুস্থ হতে চাইলে নেগেটিভ কথা বলার অভ্যেস বন্ধ করুন। এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে যে রোগগুলো মানুষকে বেশি গ্রাস করেছে, তার মধ্যে চতুর্থ তালিকায় রয়েছে মানসিক অবসাদ। এই রোগ সহজেই মানুষকে গ্রাস করে। তাই আগে থেকে নিজে সতর্ক থাকুন।
রোজ অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমান। ঘুম কম হলে নানা রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। এর মধ্যে একটি হল মানসিক অবসাদ (Depression)। রোজ সঠিক সময় ঘুমাতে যান। ডাক্তাররা সব সময় ৮ ঘন্টা ঘুমানোর (Sleep) পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু, নিজের ইচ্ছে মতো সময় ৮ ঘন্টা ঘুমালে হল না। রোজ রাত ১০ টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমানো উচিত সকলের। তবেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
কোনও তুচ্ছ বিষয়ে ক্ষোভ (Anger) প্রকাশ করবেন না। ক্ষোভ প্রকাশ করার স্বভাব মানসিক অবসাদ ডেকে আনে। তুচ্ছ বিষয়গুলো যতটা পারবেন উপেক্ষা করুন। তবেই মানসিক ভাবে সুস্থ থাকবেন। একবার অবসাদ আপনাকে গ্রাস করলে, তার থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন।