লকডাউনে একটানা বসে থাকতে থাকতে শরীরের ব্যথা বেদনা যেন বেড়ে গেছে অনেকেরই। কারোর হাঁটুর ব্যথা তো কারোর কোমরের, জয়েন্ট পেইন-এর সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। কিন্তু গ্যাসের সমস্যা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। অনেকেই হয়তো দীর্ঘদিন ধরে অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু গ্যাসের সমস্যা আর অম্বলের সমস্যা কোনটা তা বুঝতে না পেরে যখন তখন যা-তা ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন। আবার অনেকে হয়তো দিনের পর দিন অনেক ওষুধ খেয়েছেন তাও কোন কাজ দেয়নি। সবসময়ে ওষুধ খেলেই হল না ওষুধ ছাড়া কীভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় জেনে নিন বিশদে।
আরও পড়ুন-সুগন্ধের ম্যাজিকই বাড়িয়ে তুলবে মিলনের চাহিদা, ট্রাই করলেই ফল মিলবে হাতেনাতে...
প্রথমে গ্যাস্ট্রিকের কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে তা সবার আগে চিনুন-
প্রথমত খিদে পেলে খুব দ্রুত পেট ভরে যাওয়া। অনেকক্ষণ হল খিদে পেয়েছে কিন্তু একটু খেলেই মনে হয় যেন আর খেতে পারছি না এটা হল গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ।
রক্ত বমি, রক্ত আমাশা, হল গ্যাস্ট্রিকের দ্বিতীয় লক্ষণ।
ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়া, বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, বেশি পরিমাণ নুন খাওয়া প্রভৃতি কারণে পেটে মেদ জমে। এর ফলে শুধুই যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয় তা নয়,এর থেকে মেয়েদের মাসিক সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়।
পেটে প্রায়শই ব্যথা হলে তা অবহেলা করবেন না। সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন-বৈশাখেই আপনার বিবাহ-অভিযান, লকডাউনের চিন্তায় কীভাবে সামলাবেন পরিস্থিতি...
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে এর প্রতিকার করবেন-
প্রতিদিনের ব্রেকফাস্টে কলা খান। কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম যা গ্যাস-অম্বল দূর করে।
ঠান্ডা দুধ খান। ঠান্ডা দুধ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমিয়ে দেয়। তাই যারা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন তারা গরম দুধ না খেয়ে ঠান্ডা দুধ খান।
প্রতিদিন খাওয়া দাওয়ার পর দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে নিন। গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আদা হজমে সহায়ক। একটি পাত্রে জল নিয়ে আদা ও জোয়ান সারারাত জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে সেই জল ফুটিয়ে পান করুন। গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
জিরের গুঁড়ো গরম জলের মধ্যে মিশিয়ে নিয়ে খাওয়ার পর খেয়ে নিন এতে গ্যাস-অম্বল দূরে থাকে।
দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা গ্যাস অম্বল থেকে রক্ষা করে। যা গ্যাস অম্বল থেকে রক্ষা করে। এক কাপ জলে আধ চামচ দারুচিনি পাউডার মিশিয়ে তা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেয়ে নিন।