ম্যানচেস্টারের ফলোফিল্ডের বাসিন্দা ৫১ বছরের জেসমিন ডেভিড। আক্রান্ত ছিলেন স্তন ক্যান্সারে। ক্যান্সারের তৃতীয় স্টেজে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্যান্সারের ওষুধের ট্রায়ালে আংশ নিয়েছিলে। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।
মাত্র কয়েক মাস আগের কথা- চিকিৎসকরা জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন। মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন মহিলার আয়ু প্রায় ফুরিয়ে এসেছে- বাঁচার আর কোনও আশা নেই। সেই মহিলাই সম্প্রতি পরিবার পরিজনকে সঙ্গে নিজের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী পালন করলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভত এই মহিলা অসম্ভব কে সম্ভব করেছেন।
ম্যানচেস্টারের ফলোফিল্ডের বাসিন্দা ৫১ বছরের জেসমিন ডেভিড। আক্রান্ত ছিলেন স্তন ক্যান্সারে। ক্যান্সারের তৃতীয় স্টেজে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্যান্সারের ওষুধের ট্রায়ালে আংশ নিয়েছিলে। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। তার শরীরে ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ আর নেই বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুই বছর ধরে চলা ট্রায়ালের অংশ ছিলেন তিনি। ক্রিস্টি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউটট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার কেয়ার রিসার্চ ম্যানচেস্টার ক্লিনিকের রিসার্চ ফ্যাসিলিটি যে ড্রাগ ট্রায়াল চালিয়েছিল তাঁতে ছিলেন জেসমিন ডেভিজ। তাঁকে ট্রায়ালের সময় অ্যাটেজোলিজুমাবের সঙ্গে পরীক্ষিত ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকদের কথায় এটি ইমিউনোথেরাপি ড্রাগ যা শিরার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করান হয়। তিনবার তাঁকে এই ড্রাগ দেওয়া হয়েছিল।
জেসমিন জানিয়েছেন, তাঁর প্রথমে ক্যান্সার চিকিৎসা চলছিল। প্রায় ১৫ মাস তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল। প্রথমদিকে সারলেই পরে আবার তা ব্যাপক আকার নিয়েছিল। তারপরই চিকিৎসকরা তাঁকে জবাব দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ই ট্রায়ালের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। সেই সময় তিনি ভেবেছিলেন তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু ড্রাগ ট্রায়ালের অংশ হলে চিকিৎসকদের সাহায্য করার পাশাপাশি ক্যান্সারের মত মারণ রোগ প্রতিরোধ করার রাস্তা খলে যাবে- তাতে অন্যদের উপকার করা যাবে । এই চিন্তাথেকেই তিনি ড্রাগ ট্রায়ালে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।
ট্রায়ালের অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন প্রথম দিকের অভিজ্ঞতা ভয়ঙ্কর ছিল। অসহ্য মাথা যন্ত্রণা ছিল। তারপর স্পাইকিং তাপমাত্রার প্রভাব পড়েছিল। ক্রিসমাসের সময় তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন।
জেসমিন আরও জানিয়েছেন স্তন ক্যান্সার তৃতীয় স্টেজে ছিল। সেই সময় ক্যান্সার তাঁর ফুসফুস বুকের হাড় ও অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। তিনি জানিয়েছেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি যখন তিনি তাঁর ৫০ বছরের জন্মদিন উদযাপন করেছেন তখনও চিকিৎসকরা জবাব দিয়ে দিয়েছিলেন। তিনিও জানতেন মৃত্যু তাঁর শিয়রে। সেখানে থেকেই ফিরে এসে বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করছেন তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন গত এপ্রিলে তিনি ভারতে এসেছিলেন। আর তারপর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যে পরিবর্তন তিনি লক্ষ্য করতে পারছেন। বর্তমানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি ক্যান্সারমুক্ত। ঈশ্বরের পাশাপাশি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেসমিন।
দেবদেবীর ছবি ছাপা কাগজে মুড়ে মাংস বিক্রি, ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগ উত্তর প্রদেশে
মমতার বাড়ি নাকি কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার , জেরায় বলল হাফিজুল