দত্ত পরিবারে ক্যান্সার হানা এই প্রথম নয়। ৩৯ বছর আগে ক্যান্সারের কারণে মা-কে হারিয়েছিলেন সঞ্জয়। অভিনেত্রী নার্গিস ১৯৮১ সালে প্যানক্রিয়াটিক (অগ্ন্যাশয়) ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন। তখন সঞ্জয় দত্ত বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। ৬১ বছর বয়সী সঞ্জয় দত্ত শিকার হয়েছেন মারঘাতী ফুসফুসের ক্যান্সারে। বর্তমানে তিনি ফুসফুসের স্টেজ ফোরে আছেন, যা সর্বোচ্চ ঝুঁকি হিসাবে বিবেচিত হয়।
মঙ্গলবার রাতে সঞ্জুর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এটি প্রকাশ করেছেন। এর দু'দিন আগে শ্বাসকষ্ট ও অস্বস্তির লক্ষণ সহ সঞ্জয়কে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর পরে, তার কোভিড পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল যা নেগেটিভ এসেছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি চিকিত্সার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন।
ফুসফুসের ক্যান্সার কতটা বিপজ্জনক
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঞ্জয় দত্ত ফুসফুস ক্যান্সারের চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, যা মারাত্মক বলে মনে করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুসের ক্যান্সার দুটি ধরণের হয় - স্মল সেল ক্যান্সার এবং নন স্মল সেল ক্যান্সার। স্মল সেল ফুসফুসের ক্যান্সার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ফলে ছোট কোষের ফুসফুসের ক্যান্সার খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর তিনটি স্তর রয়েছে -
প্রাথমিক পর্যায়ে - এই পর্যায়ে ক্যান্সার শুরু হয়। এই সময়ে, দেহের যে কোনও একটি অংশে এর কোষগুলি দুটি থেকে চার আকারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই পর্যায়ে, একটি ফুসফুস বা যে কোনও অংশে ক্যান্সার সনাক্ত হলে তা অস্ত্রপচারের মাধ্য়মে সরিয়ে ফেলা যেতে পারে।
মধ্যবর্তী পর্যায় - এই পর্যায়ে ক্যান্সার কোষগুলি দেহের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এই পর্যায়ে, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপির পাশাপাশি অপারেশনও প্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে।
তৃতীয় পর্যায় - এই পর্যায়ে ক্যান্সারের কোষগুলি পুরোপুরি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই পর্যায়ে, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, তবে উন্নত কেমোথেরাপি সাহায্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিত্সা দেওয়া যেতে পারে।