মেদিনীপুরের ৫০ বছর বয়সী এক মহিলার অপারেশন (Operation) করা হয়। এই অপারেশন ডাক্তার অরুণাভা রায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিক অনকোলজি অ্যান্ডড রোবোটিক সার্জারি, গাইনি অনকোলজি অ্যান্ড উইমেন ক্যান্সার ইনিশিয়েটিভ, মেডিকা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ইউনিট প্রধান দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে একের পর এক রোগ জয় করেছে রোগীরা। প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছুর আবিষ্কারের পথে এগিয়ে চলেছেন চিকিৎসকরা। ফলস্বরূপ চিকিৎসা বিজ্ঞানের নবতম সংযোজন হয়েছে দ্য ভিঞ্চি রোবট। চতুর্থ প্রজন্মের দা ভিঞ্চি সার্জিক্যাল রোবট (Robot)। এই রোবটের মাধ্যমে মেডিকা সফলভাবে ডে কেয়ার হিস্টেরেক্টমি পরিচালনা করেছে। শুধু তাই নয়, রোগীকে অপারেশনের পর একই দিনে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মেডিকা সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, তাদের নতুন প্রতিষ্ঠিত অনকোলজি বিভাগের মাধ্যমে, বিশ্বমানের ক্যান্সারের (Cancer) চিকিৎসা প্রদান করে, প্রথম কেয়ার রোবটিক হিস্টেরেস্টোমাইডের একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে। মেদিনীপুরের ৫০ বছর বয়সী এক মহিলার অপারেশন করা হয়। এই অপারেশন ডাক্তার অরুণাভা রায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনোকোলজিক অনকোলজি অ্যান্ডড রোবোটিক সার্জারি, গাইনি অনকোলজি অ্যান্ড উইমেন ক্যান্সার ইনিশিয়েটিভ, মেডিকা ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের ইউনিট প্রধান দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।
মিসেস সামন্ত দীর্ঘস্থায়ী মাসিক রক্তক্ষরণে ভুগছিল। তাঁর আল্ট্রাসাউন্ড করা হয়েছে। এন্ডোমেট্রিয়াল বায়োপসি এন্ডোমেট্রিয়াল পলিপকে আশ্রয় করে এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্লাসিয়া করা হয়। ডাক্তারি মতে, তাঁর শারীরিক অবস্থা ছিল প্রাক ক্যান্সার স্তরে। যা চিকিৎসা না করা হলে জরায়ু ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে বলে চিকিৎসকদের আন্দাজ ছিল। তাই তাঁকে হিস্টেরেক্টমির পরামর্শ দেওয়া হয়। এই অপারেশন হয় রোবটের দ্বারা। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে রোবোটিক হিস্টেরেক্টমি (Robotic Hysterectomy operation) বেছে নেওয়া হয়। যা সফল হয়েছে।
মেডিকা সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক অরুণাভ রায় (Arunava Roy) বলেছেন, ‘ডব্লিউএইচও এর পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জনের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে গড় মহিলারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যায়। ডে কেয়ার হিস্টেরেক্টমিতে রোগীর কোনও রক্ত সঞ্চালন, অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথার ওষুধ খাওয়ার দরকরা হয় না। ন্যূনতম ওষুধ আর কোনও ব্যথা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়।’
ড. অভয় কুমার (Avay Kumar) বলেন, ‘ভারতের ক্যান্সারের বোঝা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। ২০১০ থেকে ২১৯০ সাল থেকে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ বেড়েছ ও মৃত্যু ২৬ শতাংশ বেড়েছে। ২০২০ সালে ১৪ লক্ষ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। ডে কেয়ার ট্রিটমেন্ট মেডিকা ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের সেরা দিকে একটি পদক্ষেপ যা আগামী দিনে ফলপ্রসূ হবে।’
আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্ব দোকানীরা পাবেন পেনশনের সুবিধা, সৌজন্যে কেন্দ্রের ন্যাশনাল পেনশন স্কিম
আরও পড়ুন: সদ্য মা হওয়া মায়েদের প্রায়ই এই প্রসঙ্গগুলোর মুখোমুখি হতে হয়, জেনে নিন সেগুলি কি কি
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চাইছেন, আজ থেকেই শুরু করুন অ্যালোভেরা খাওয়া