সর্বত্র পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস (World Aids Day)। সাধারণ মানুষকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে বেছে নেওয়া হয়েছে এই বিশেষ দিন।
আজ সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব এইডস দিবস (World Aids Day)। সাধারণ মানুষকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে বেছে নেওয়া হয়েছে এই বিশেষ দিন। আজ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এইডস নিয়ে সচেতনতা বার্তা প্রচারে ব্যস্ত স্বেচ্ছাসেবীরা। শুধু বছরের এই একটা দিন নয়। মাঝে মধ্যেই এই মারণ রোগ (Disease) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগী হন বহু মানুষ। তবে, বিশ্ব এইডস দিবসের প্রধান লক্ষ্য হল যারা এই রোগে মারা গিয়েছেন, তাদের স্মরণ করা ও এই রোগের চিকিৎসা পরিষেবা যাবে বৃদ্ধি পায় তা জন্য প্রচেষ্টা চালানো।
এইডস বা Acquired Immune Deficiency Syndrome একটি এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এই রোগটি শরীরে থাবা বসালে ধীরে ধীরে ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর জন্য একজন এইডস (AIDS) রোগী খুব সহজেই অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। এর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ইতিহাস বলছে, প্রথম ১৯৮১ সালে এই রোগ ধরা পড়ে। পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকা (Africa) থেকে এই রোগ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৮৮ সালে প্রথম বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়।
আরও পড়ুন: Health Tips: গোটা দিন কাটছে ডবল মাস্ক পরে, হতে পারে এই কয়টি সমস্যা
আরও পড়ুন: Arthritis: ভুলেও খাবেন না এই কয়টি খাবার, বাড়তে পারে আর্থ্রারাইটিস
এইডস রোগের উপসর্গ-
এইডস বা Acquired Immune Deficiency Syndrome রোগটি শরীরে থাবা বসালে নানা রকম উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন বার বার সর্দি-কাশি জ্বর (Fever), গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। ওষুধ খেয়ে প্রথমিক ভাবে জ্বর কমলেও ফের দেখা দেয়।
এছাড়া, এইডস বা Acquired Immune Deficiency Syndrome রোগের উপসর্গ মেলে চর্ম রোগের (Skin Disease) দ্বারা। যদি চোখ, নাক ,মুখ পিঠ গলা সব জায়গা চামড়ায় লাল ফুসকুড়ি দেখেন তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এইডসে আক্রান্ত হলে এমন লক্ষণ দেখা দেয়।
এছাড়া, সারাক্ষণ গা-হাত পা ও মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। দেখা দিতে পারে বমি বমি ভাব (Bromating)। এর সঙ্গে দুদিন ছাড়া ছাড়া পেটের সংক্রমণ হলে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এই রোগ শরীরের সকল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। তাই যে কোনও রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ব্যক্তি।
দীর্ঘ সময় অসুস্থতা কিংবা ওজন (Weight) কমে যাওয়া এইডস রোগের লক্ষণ। এইডস শুধু প্রাপ্ত বয়স্কদের হয় এমন নয়। শিশুদের মধ্যেও দেখা গিয়েছে এই রোগ। মায়ের শরীর থেকে এইডস শিশুর শরীরে থাবা বসাতে পারে। তাই সময় থাকতে থাকতে সচেতনতার প্রয়োজন।