অনেক সময়েই দেখা যায়, যাঁরা রক্ত দিচ্ছেন তাঁরা অনেকেই দুর্বল বোধ করেন। এটাই স্বাভাবিক। আসলে এমনটা হয় কারণ শরীর থেকে রক্ত বের হলে শরীরে রক্তের অভাব হয়।
রক্তদান জীবনদান। একথা কারও অজানা নয়। রক্ত বহু মানুষকে নব জীবন দান করে। গ্রীষ্মকালে রক্তের অভাবে কতশত মানুষ অকালে চলে যান, তার ইয়ত্তা নেই। তাই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় বিভিন্ন জায়গায়, যাতে প্রাণ সংকট কিছুটা হলেও কাটে। স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেরা এগিয়ে এসে রক্তদান করেন। তাঁদের রক্তে প্রাণ বাঁচে মরণাপন্ন রোগীর।
অনেক সময়েই দেখা যায়, যাঁরা রক্ত দিচ্ছেন তাঁরা অনেকেই দুর্বল বোধ করেন। এটাই স্বাভাবিক। আসলে এমনটা হয় কারণ শরীর থেকে রক্ত বের হলে শরীরে রক্তের অভাব হয়। তাই রক্ত দেওয়ার পর মানুষ প্রায়ই দুর্বল বোধ করে। একই সময়ে, কেউ কেউ ক্লান্ত বোধ করেন। এমতাবস্থায় রক্ত সরবরাহের জন্য খাদ্যতালিকায় এমন কিছু জিনিস যোগ করা উচিত, যার ফলে শুধু ক্লান্তিই দূর হয় না, মানুষের শরীরে নতুন রক্তও তৈরি হতে পারে। এই সব খাবার শরীরে বল ফেরায়, পুষ্টি জুগিয়ে উদ্দিপনা সঞ্চার করে।
এখন প্রশ্ন হল, রক্ত দেওয়ার পর কী কী জিনিস খাওয়া উচিত। তাই আজকের নিবন্ধটি এই বিষয়ে। আজ আমরা এই প্রবন্ধের মাধ্যমে জানাবো রক্ত দেওয়ার পর কী কী খাবার খেতে হবে।
রক্ত দেওয়ার পর কি খাবেন
রক্তদানের পর আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করুন সবুজ শাকসবজি। সবুজ শাকসবজি শুধু আপনাকে সুস্থই করে না, খাদ্যতালিকায় যোগ করলে শরীর থেকে দুর্বলতা ও ক্লান্তি দূর হয়। এমন পরিস্থিতিতে আপনি পালং শাক, লাউ, গাজর, শসা ইত্যাদি সবুজ শাকসবজি যোগ করতে পারেন।
রক্তদানের পর, আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় ফল যোগ করতে পারেন। ফল খেলে শুধু শরীর সুস্থ থাকে না, দুর্বলতা ও ক্লান্তি দুটোই দূর হয়। এমন অবস্থায় আপেল, ডালিম, কিউই, পেয়ারা ইত্যাদি জিনিস খেতে পারেন।
রক্ত দেওয়ার পর শুকনো ফলও খেতে পারেন। শুকনো ফল শুধু স্বাস্থ্যকরই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এমন অবস্থায় এগুলো সেবনের ফলে শরীরে রক্তের অভাব পূরণ হয়। এছাড়াও, ক্লান্তিও দূর হতে পারে।
রক্তদানের পরে, আপনার খাদ্যতালিকায় সেই জিনিসগুলি যোগ করা উচিত, যাতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আয়রন রয়েছে। আয়রনের ঘাটতি হলে শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে। সেই সঙ্গে আয়রন খেলে শরীরকে রক্তশূন্যতার সমস্যা থেকে বাঁচানো যায়। এমন অবস্থায় রক্তদানের পর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডায়েটে যোগ করুন।