বিশ্ব ক্যান্সার দিবস, কেন হয় এই মারণরোগ জেনে নিন এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি

  • ক্যান্সার হল অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি
  • এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি
  • প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না
  • ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সারের ধরন রয়েছে

ক্যান্সার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে চিকিৎসা দ্বারা সেরে ওঠা সম্ভব হয় না। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা অনেকাংশ বেড়ে যায়। ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষণা হচ্ছে এবং এই মারণ রোগ-কে নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন- ছেলেরাও শিকার হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সারে, ভারতের বুকে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্য়া

Latest Videos

যখন কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখনই ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকা দেখা যায়। একেই টিউমার বলে। এই টিউমার বিনাইন বা ম্যালিগন্যান্ট হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকেই ক্যান্সার বলে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম হয়ে বৃদ্ধি পাওয়া কলাকে নিওপ্লাসিয়া (টিউমার) বলে, এবং সেই রকম ক্রিয়া যুক্ত কোষকে নিওপ্লাস্টিক কোষ বলে। অনেক ক্যান্সার প্রথমে বিনাইন টিউমার হিসাবে শুরু হয়, পরে তার মধ্যেকার কিছু কোষ পরিবর্তিত হয়ে ম্যালিগন্যান্ট হয়ে যায়। তবে বিনাইন টিউমার ক্যান্সারে পরিবর্তিত হবেই তার কোন স্থিরতা নেই। কিছু বিনাইন টিউমার সদৃশ ব্যাধি আছে যাতে ক্যান্সার হওয়া অবশ্যম্ভাবী এদের প্রি-ক্যান্সার বলে। 

আরও পড়ুন- ক্যান্সার থেকে ডায়াবেটিস, খুবই কার্যকরী ড্রাগন ফল

মানবদেহে যে সকল স্থানে ক্যান্সার ধরা পড়েছে তা হল প্রস্টেট গ্রন্থি, স্তন, জরায়ু, অগ্ন্যাশয়, রক্তের ক্যান্সার, চামড়ায় ক্যান্সার ইত্যাদি। একেক ক্যান্সারের জন্য একেক ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ থাকে। তবে সাধারণ কিছু লক্ষণ হল, খুব ক্লান্ত বোধ করা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, শরীরের যে কোনও জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেওয়া, দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা, মলত্যাগে পরিবর্তন, জ্বর, রাতে ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া, অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক রক্তপাত হওয়া, ত্বকের পরিবর্তন, মানসিক অস্বস্তি এই লক্ষণগুলি 

আরও পড়ুন- আলসার থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধ, ম্যাজিকের মতো কার্যকরী বাঁধাকপি

ক্যান্সারের চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীদের মানসিক চিকিৎসার ব্যাপারে এখন জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীরা বেশ মানসিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যান, অনেকে মানসিকভাবে ভেঙ্গেও পরেন। এই কারণে অনেক সময়ে তাদের শারীরিক অবস্থা বেশি গুরুতর না হলেও অনেকে দ্রুত খারাপের দিকে যায়। ফলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উন্নত দেশগুলোতে এই ধরনের সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কাজও করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি যোগা, মেডিটেশন ইত্যাদির মাধ্যমেও রোগীদের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার শিক্ষা দেয়া হয়। এর পাশাপাশি মানসিক স্বস্তির জন্য কেউ যদি ধর্মীয় বা সামাজিক কোনও কাজে নিয়োজিত হতে চান সে ব্যাপারেও তাদেরকে উৎসাহ দেয়া হয়। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Mamata Banerjee: 'মোদী কিছু দেয় নি আমি ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছি' বিতর্কিত মন্তব্য মমতার
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today
দেরিতে আসায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে কড়া ধমক MLA অসিত মজুমদারের, দেখুন ভিডিও
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি