মানব দেহের হাড় কোলাজেন ফাইবারগুলির সাহায্যে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে। অস্টিওপোরোসিস এমন একটি রোগ যা হাড়ে থাকা ক্যালসিয়ামের ক্ষতি করে এবং সেইজন্য হাড়ের ক্ষয়ের মত সমস্যা খুব দ্রুত ঘটে। যার কারণে হাড়গুলি দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। এর ফলে হাড়ভাঙ্গা ও অস্টিওপরোসিসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আজ বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস। প্রতি বছর ২০ অক্টোবর এই রোগের বিভিন্ন প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে পালন করা হয় এই দিন।
আরও পড়ুন- সুস্থ থাকতে দিনে কতটা ভাত খাওয়া উচিত, জেনে নিন এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে
অনেকাংশে অস্টিওপোরোসিস সমস্যাটি বংশগত বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত রোগ বলে মনে করা হয়। এই রোগ একজন ব্যক্তির হাড়ের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে, যা পরে জীবনে অস্টিওপরোসিসের দিকে পরিচালিত করে। বিজ্ঞানীরা এখনও এই নির্দিষ্ট জিনগত ত্রুটিগুলি বা রোগের কারণগুলি কী তা নির্ধারণ করতে সক্ষম হননি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা (NIH), এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনার পিতা মাতার মধ্যে যদি অস্টিওপোরোসিস সমস্যাটি থাকে তবে আপনারও এই রোগটির জন্য পরীক্ষা করা উচিত।
অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ এবং স্ক্রিনিং-
CDC-তে বলা হয়েছে যে একটি বিশেষ ধরণের এক্স-রে রয়েছে যা ডুয়াল এক্স-রে শোষণকারী (DXA) নামে পরিচিত। যা আপনার দেহের হাড়ের ঘনত্ব কম কিনা তা দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া আপনার হাড়গুলি দুর্বল এবং আপনার অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কিনা তার পরিমাপ করা হয়। এই ধরণের সমস্যা থাকলে নিয়মিত চেকআপ করা খুব জরুরী কারণ অস্টিওপোরোসিসে সর্বদা সুস্পষ্ট লক্ষণ থাকে না। এই রোগের কারণে ঘন ঘন এবং অযাচিত ফ্র্যাকচার হয়ে থাকে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- এই ৫ খাদ্য স্বাস্থ্যের জন্য কোনও বিষের চেয়ে কম নয়, তালিকায় রয়েছে আপনার প্রিয় খাবারটিও
অস্টিওপোরোসিস রোগীর সমস্যা-
এই রোগীর বসবাসের স্থানে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি সবার আগে কমানো দরকার।
অস্টিওপোরোসিসের বৃদ্ধির ফলে হালকা আঘাতের ফলেও হাড়ে ফ্র্যাকচার হতে পারে।
যেহেতু হাড়গুলি খুব দুর্বল থাকে ফলে তা নিরাময়ে অনেক মাস সময় নেয়। পাশাপাশি হাড়গুলি যে পুরোপুরি নিরাময় হবে তারও কোনও গ্যারান্টি নেই।
যদি একসঙ্গে একাধিক ফ্র্যাকচার হয় তবে তা আক্রান্ত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে তোলে।
এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহমের পরামর্শ দেন।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল জাতীয় সেবন এড়িয়ে চলা উচিৎ
নিয়মিত ব্য়ায়াম ও যোগা করা প্রয়োজন।