বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া-করোনা আবহের মধ্যে আজবকাণ্ড ঘটে গেল হাওড়ায়। সাত সকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নবনির্মিত একটি শ্মশান। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। দীর্ঘদিন দাবি রাখার পর কিছুদিন আগেই পুণর্নির্মাণ করেছিল প্রশাসন। তা যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল, অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন-খারাপ আবহাওয়া, সোমবার উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সশরীরে প্রশাসনিক বৈঠক স্থগিত
জানাগেছে, হাওড়ার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত হীরাপুর পালপাড়া এলাকায় কিছুদিন আগেই একটি শ্মশান পুণর্নির্মাণ হয়েছিল। রবিবার সকালে আচমকা ভেঙে যায় শ্মশানটি। ঘটনার জেরে নির্মাণ কাজের গণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য গুনগতমানের সিমেন্ট, রড সহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। আরও বলুন-সহজলভ্য বস্তু দিয়ে বিস্ফোরক-জ্যাকেট তৈরি, সেনার উপর হামলার ছক ছিল ধৃত আল কায়দা জঙ্গিদের
অভিযোগ ওঠে জেলা পরিষদের সদস্য প্রিয়া পালের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ উড়িতে তিনি পালটা বলেন। ''শ্মশান নির্মাণের জন্য ১৩ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ ছিল, মাটি পরীক্ষা করা হয়নি। পুরনো ভিতের উপর নতুন শ্মশানের নির্মাণ কাজ হয়েছে। এত কম টাকায় মাটি পরীক্ষা হয় না''।
এলাকার সাধারণ মানুষের পালটা অভিযোগ, ''এত কম টাকায় নির্মাণকাজ হবে না জেনেও কীভাবে কাজ হল। তাহলে কী জেনেশুনে সকলের জন্য বিপদ ডেকে আনলেন। আবার মাটি পরীক্ষা না করেই''।
আরও পড়ুন-'মাস্ক পরেননি কেন', হাসপাতালরক্ষীর 'মারে' মাথা ফাটল রোগীর আত্মীয়র
হীরাপুর পালপাড়ার ওই শ্মশানটি পূর্ত দফতরের আওতাভুক্ত। কিন্তু শ্মশান পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছিল জেলা জেলা পরিষদ। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসীর চাহিদা ছিল এই শ্মশান পুণর্নির্মাণ। করোনা আবহের মধ্যে আচমকা ভেঙে যাওয়ার দুর্ভোগের আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।