বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ছিল না। তবে তা নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ঘাসফুল শিবির। পরিবর্তে দলের পক্ষ থেকে আলাদা একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশেনর (Parliament Winter Session) প্রথম দিনেই রীতিমত উত্তাল ছিল রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। রাজ্যসভার ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে ১২জন সাংসদকে সাসপেন্ড (12 MPs suspended) করা হয়েছে। পেগাসাস ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখোয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। ঐক্যবদ্ধভাবেই আন্দোলন দেখায় বিরোধী দলের সাংসদরা। তাতেই ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু বিরোধী ঐক্য চুরমার হয়ে যায় বিরোধীদলগুলির জারি করা বিবৃতিতেত (Join Statement)। বিরোধীদের জয়েন্ট স্টেটমেন্টে নাম নেই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। যৌথ বিবৃতিতে নাম রয়েছে কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনা, আরজেডি, সিপিআই, সিপিএম, আম আজদমি পার্টি, টিআরএস, এলজেডি, জেডিএস, এমডিএমকে, আইইউএমএর। কিন্তু নাম নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। তারপরই জাতীয় রাজধানীর রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন বিরোধীরা কী যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে পাশ কাটিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসকে।
বিরোধীদের যৌথ বিবৃতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ছিল না। তবে তা নিয়ে প্রকাশ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ঘাসফুল শিবির। পরিবর্তে দলের পক্ষ থেকে আলাদা একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। বরখাস্ত হওয়া দুই সাংসদ দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী সুখেন্দু শেখর রায়ের পাশে বসে বলেন তাঁদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। রাজ্য সভার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক বলেও বর্ণনা করেছেন তাঁরা। এই একই কথা বলা হয়েছে বিরোধীদের জারি করা যৌথ বিবৃতিতে।
Businessman Murder: ঋণ শোধ করতে বলায় শোরুম মালিককে খুন, কাঠগড়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী
Meghalaya TMC: মেঘালয়ার তৃণমূল নেতাদের শুভেচ্ছা মমতার, দলের সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপ
Parag Agrawal: টুইটারের নতুন CEO পরাগ আগরওয়াল, এক নজর বোম্বে IIT-র ছাত্রের ঝকঝকে কর্মজীবনে
যদিও বিষয়টি মুখ খুলেছেন সুখেন্দু শেখর রায়। কিছুটা সাবধানী পথে দাঁডিয়ে তিনি জানিয়েছেন যারা যৌথ বিবৃতি দিয়েছে তারা তাদের ডাকেনি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েনকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আর তৃণমূল কী কী পদক্ষেপ নেমে তা স্থির করে দেন মানুষই। তবে সংসদে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির যৌথবিবৃতিতে তৃণমূলের নাম না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূল কি জাতীয় রাজনৈতিতে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার জন্য বন্ধু হারাচ্ছে। কারণ সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সম্পর্কে তিনি যে অনাগ্রহী তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি একাধিক রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমত ভাঙন ধরিয়েছে কংগ্রেসে। যার সর্বশেষ নজির দেখা গেছে মেঘালয়াতে। সেখানে কংগ্রেসকে জোর ধাক্কা দিয়ে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে বিরোধী দলের তকমা। পাশাপাশি গোয়াতেও কংগ্রেসে শিবিরে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে সুস্মিতা দেব, অভিজির বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত কংগ্রেস নেতাদেরও তৃণমূলে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর যা ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই থেকে সোনিয়া মমতা দূরত্ব বাড়ছে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা বৈঠকেও গরহাজির ছিল তৃণমূল। তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্র্যাত্য রাখা হয়েছে যৌথ বিবৃতি থেকে। যদিও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিরোধীরা।