মিজোরামের হান্থিয়াল জেলার পাথরখনিতে ধ্বস নেমে খনির নিচে আটকা পড়লো বিহারের এক ডজনেরও বেশি কর্মী।বিপর্যয় মোকাবিলায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং আসাম রাইফেলস।
মিজোরামের খনিতে ফের ধ্বস। মিজোরামের হান্থিয়াল জেলার পাথরখনিতে ধ্বস নেমে খনির নিচে আটকা পড়লো বিহারের এক ডজনেরও বেশি কর্মী। সূত্রের খবর হান্থিয়াল জেলার এক বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীরা চুক্তিভিত্তিক কাজের জন্য ওখানে এসেছিলো কাজ করতে । সোমবার দিন মধ্যাহ্নভোজের পর ফের কাজ শুরু হলে হঠাৎই ধ্বস নামে ওই খনিতে। ওই প্রবল ধ্বসে খনিতে চাপা পরে ১৫ জন শ্রমিক সহ , পাঁচটি হিটাচি এক্সকাভেটর ও অন্যান্য ড্রিলিং মেশিন। ঘটনার খবর প্রচার হতেই লেইট গ্রাম এবং হান্থিয়াল শহরের স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতায় তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং আসাম রাইফেলসকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য ডাকা হয়।
খবর পেয়ে হানাথিয়াল জেলার আধিকারিকরা এবং পুলিশের একটি মেডিকেল টিমও ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ) স্বেচ্ছাসেবকরাও উদ্ধার অভিযানে কর্মকর্তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়। সূত্রের খবর ,এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ওই শ্রমিকরা মৌদারহ গ্রামে কোয়ারিতে কাজ করার সময় বিকেল সাড়ে ৩ তে নাগাদ নামে ধ্বস। ঘটনার সময় বেশিরভাগ শ্রমিক পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও প্রায় ১৫ জন ধ্বংসস্তূপের নীচেই চাপা পড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে হানথিয়াল জেলার ডেপুটি কমিশনার আর লালরেমসাঙ্গা বলেন ,'আমাদের কাছে আটকে পড়া শ্রমিকের সঠিক পরিসংখ্যান এখনও নেই। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে ১০ থেকে ১৫ খনিস্তরের মধ্যেই চাপা পড়ে আছেন তারা। ' উদ্ধার অভিযান ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই প্রাথমিকভাবে পুলিশ অনুমান করছেন যে হয়তো ভিতরে সব শ্রমিক এখনো বেঁচে আছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য বর্তমানে হানাথিয়াল এবং ডন গ্রামের মধ্যে একটি মহাসড়ক নির্মাণ কাজের জন্যই ওই খনি থেকে পাথর কেটে বোল্ডার সংগ্রহ করা হচ্ছিলো। তার মাঝেই এমন বিপত্তি শিউরে দিলো আমাদের।
আরও পড়ুন
পিকনিকে যাওযার পথে বিপত্তি, উত্তরপ্রদেশে বাস উল্টে শিশু দিবসে নিহত ২
আইফোনে এবার ব্যবহার করা যাবে ৫জি দ্রুত গতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক, কিভাবে ?জানুন
বাঁধাকপি থেকে আলুর দাম নিয়ে নবান্নের বৈঠকে প্রশ্ন মমতার, হিমঘর থেকে দ্রুত আলু বার করার নির্দেশ