গোটা দেশ লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। এর মাঝেই ছত্তিশগড়ে এবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে শুক্রবার রাতে রাজনন্দগাঁও জেলাতে মাওবাদীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই শুরু হয়। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এই অনকাউন্টার শুরু হয়। যা বেশ কয়েকঘণ্টা ঘরে চলে। মানপুর থানার অন্তর্গত পারধনি গ্রামের কাছে গভীর জঙ্গলে এই সংঘর্ষের ঘটনায় মাওবাদীদের গুলিতে মৃত্যু হয় পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরের। অন্যদিকে ৪ মাওবাদীর দেহও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়।
পারধনি গ্রামের কাছে মাওবাদীরা লুকিয়ে ছিল, গোপন সূত্রে এই খবর পায় পুলিশ। তার পরেই অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ আসার খবর জানতে পেরে গ্রামের ভিতর থেকেই গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাব দেয় পুলিশও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে লড়াই। এনকাউন্টারে ৪ মাওবাদীকে পুলিশ খতম করেছে। মৃত মাওবাদী মধ্যে রয়েছে ডিভিশনাল কমিটির সদস্য অশোক ও এরিয়া কমিটির সদস্য। এছাড়া পুলিশের গুলিতে খতম হওয়া মাওবাদীদের মধ্যে রয়েছে দুই মহিলা ক্যাডার করিতা ও প্রমিলা। তবে মাওবাদীদের গুলি লাগে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরের গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাব ইন্সপেক্টর এসকে শর্মার।
অভিযান শেষে রাজনন্দগাঁওয়ের সহকারী পুলিশ সুপার জি এন বাঘেল জানিয়েছেন, “চার মাওবাদীর মৃতদেহ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি এসএলআর অস্ত্র এবং দুটি .৩১৫ বোর রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না মমতার প্রশাসন, চিঠি দিলেন ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও পড়ুন: ৫৯ হাজার ছাড়িয়ে গেল আক্রান্তের সংখ্যা, দেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হবে জুলাইতে
এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ছত্তিশগড়ের সুকমায় মাও হামলায় ১৭ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে সেই সময় জানান হয়, মৃত জওয়ানদের অস্ত্র লুট করেছিল মাওবাদীরা। যার মধ্যে ১০টি একে ৪৭ রাইফেলও ছিল। প্রায় ১২ ঘণ্টা সেই গুলি লড়াইয়ে ১৪ জন জওয়ান গুরুতর জখম হন। এই হামলায় মাণ্ডভী হিন্ডার নেতৃত্বে প্রায় তিনশো জন মাওবাদী জড়িত ছিল বলে ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে পরে জানান হয়েছিল।