অযোধ্যা রাম মন্দিরে লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের প্রভাব প্রখর ছিল। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দিরে ভগবান রামের মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত ছিলেন।
অযোধ্যা রাম মন্দিরের বড় বিপর্যয়। সম্মানিত প্রধান পুরোহিত আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধন ও পবিত্রকরণ অনুষ্ঠানে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। মণিকর্ণিকা ঘাটে প্রয়াত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের শেষকৃত্য হওয়ার কথা রয়েছে।
অযোধ্যা রাম মন্দিরে লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের প্রভাব প্রখর ছিল। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যা রাম মন্দিরে ভগবান রামের মূর্তির অভিষেক অনুষ্ঠানের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতই ছিলেন প্রধান পূজারী। মহারাষ্ট্রের সোলাপুর জেলার বাসিন্দা ছিলেন। লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত বারাণসীর সম্মিত পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর স্বীকৃতি ছিল ব্যপক। তাঁর পরিবার কয়েক প্রদন্ম ধরেই পণ্ডিত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শোক প্রকাশ করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনে লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের মৃত্য়ুতে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, কাশীর শ্রদ্বেয় পণ্ডিত ও শ্রীরাম জন্মভূমির প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান পুরোহিত আচার্য শ্রী লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের মৃত্যুতে আধ্যাত্মিক ও আধ্যাত্মিকতার জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি চিহ্নিত হয়েছে। আদিত্যনাথ আরও জানিয়েছেন, সংস্কৃত ভাষা ও ভারতীয় ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর উৎসর্গের উত্তরাধিকার চিরকাল অনুরণিত হবে। ভগবান শ্রীরাম তাঁর বিদেহী আত্মাকে আলিঙ্গন করবেন। আদিত্যনাথ আচার্যের শিষ্য ও ভক্তদেরও পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের মৃত্যুতে অনেক ধর্মীয় গুরু শ্রদ্ধা জাানিয়েছেন। তাঁর ভক্তরাও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁর ভক্তের সংখ্যাও ছিল অসংখ্য। তাঁর ভক্ত ও শিষ্যরা শোকস্তব্ধ।