মঙ্গলবার সেনা বাহিনীর তিনটি বিভাগে নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে সুর চড়িয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু কেন চাকরি প্রার্থীরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে
মঙ্গলবার সেনা বাহিনীর তিনটি বিভাগে নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু তারপর থেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করে সুর চড়িয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু কেন চাকরি প্রার্থীরা এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে - কারণ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছর ৪৬০০০ হাজার কর্মসংস্থান করা হবে।
অগ্নিপথ আন্দোলন নিয়ে বিক্ষোভের কারণ-
১. চাকরির নিরাপত্তা ও পেনশন-
চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরির নিরাপত্তা নেই। পেনশনে ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। আগের নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনীতে ১৭ বছরের মেয়াদে নিয়োগ করা হত। এই নিয়োগ পদ্ধতিতে আজীবন পেনশন পাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু নতুন প্রকল্পে তার কোনও সম্ভাবনা নেই।
২. স্বল্প মেয়াদ
নতুন স্কিমে মাত্র চার বছরের জন্য অগ্নিবীর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এই স্বল্প মেয়াদের বিরোধিতা করেছে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের কথায় এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার যুবকদের অনুদান দেওয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থান হচ্ছে না।
৩. সেনা নিয়োগে স্থগিতাদেশ
মহামারির কারণে গত দুই বছর সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হয়নি। যা নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। অগ্নিপথের মত স্বল্পমেয়াদী স্কিম তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের হিসেব অনুযায়ী দুই বছর আগে পর্যন্ত সেনা বাহিনী ও অন্য়ান্য প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রগুলিতে প্রায় ৬০ হাজার শূণ্যপদ ছিল। তাই বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি তাদের। কিন্তু অগ্নিপথের মাধ্যমে সেক্ষেত্রে নিয়োগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও আশঙ্কা।
৪. নতুন নিয়োগ বৈষম্য
বর্তমান ব্যবস্থায় সেনা বাহিনীতে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বৈষম্যের কোনও স্থান নেই। কিন্তু নতুন নিয়মে সেনা বাহিনীতে বৈষম্য আরও বড়বে বলেও আশঙ্কা চাকরি প্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ নতুন নিয়মে নিয়োগ সেনা ইউনিট অঞ্চল, বর্ণ, শ্রেণীতে বিভক্ত হতে পারে।
৫. মানসিকতায় বৈষম্য
নতুন নিয়মের ক্ষেত্রে যাদের মাত্র ৪ বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে তাদের সামনে চাকরিতে উন্নতি করার রাস্থা খুবই কম। স্থায়ী সেনা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মানসিকতার ফারাক তৈরি হবে। যা ভারতীয় সেনা বাহিনীর দক্ষতা কমিয়ে দেবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
৬. রাজনৈতিক ইন্ধন
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর উপস্থিতিতে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম থেকেই সেনার অন্দরে এই প্রকল্প নিয়ে দ্বিধা ছিল। প্রাক্তন সেনা প্রধান ও সেনা সদস্যদের অনেকেই এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও সরকার তড়িঘড়ি অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে অগ্নিবীর নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। বুধবার থেকেই শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন। বিজেপি বিরোধীদল গুলি আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। কংগ্রেস থেকে শুরু করে বামদলগুলি সরাসরি আন্দোলনকারীদের পাশে না দাঁড়ালেও প্রচ্ছন্ন মদত দিয়ে চলেছে তাদের।
মা হওয়ার পথে কাঁটা দূর করতে পারে এই পাঁচটি আসন, পুরুষরা করলে সুখের হবে যৌন মিলন
কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক কিয়ারা, ১৫ কোটির অ্যাপাটমেন্ট আর চোখ ধাঁধানো গাড়ির সংগ্রহ তাঁর
অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ দেশ- তিনটি ট্রেনে আগুন, পুলিশের গুলিতে নিহত ১