আন্দোলনের নামে সম্পত্তি ধ্বংস, গুলি করে মারার নির্দেশ দিলেন রেলমন্ত্রী

  • নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আগুন জ্বলছে দেশের সর্বত্র
  • বেশ কয়েক জায়গায় রেলের সম্পত্তির ক্ষতিও করেছে আন্দোলনকারীরা
  • মঙ্গলবার রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিলেন
  • জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষতি করতে দেখলেই গুলি করা হবে

 

amartya lahiri | Published : Dec 17, 2019 4:53 PM IST / Updated: Dec 17 2019, 10:27 PM IST

লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হওয়ার পরদিন থেকেই এই আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তারপর বিলটি আইনেও পরিণত হয়েছে। তাতে আন্দোলনের ধার আরও বেড়েছে। সেই আগুনে বেশ কয়েক জায়গায় পুড়েছে ট্রেন, বিভিন্ন রেল স্টেশনেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন ধরানো হয়েছে। মঙ্গলবার কিন্তু রেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদি রেল কর্তৃপক্ষকে 'কাউকে জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষতি করতে' দেখলেই সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দিলেন।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, মন্ত্রী হিসাবে তিনি সরাসরি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন এবং রেল কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন, যদি কেউ রেলের সম্পত্তি নষ্ট করে তবে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে হবে। শুধু রেল নয়, যে কোনও সরকারি সম্পত্তির ক্ষেত্রেই একই পন্থা নিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সোমবার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য পুলিশ জামিয়া মিলিয়ার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। মোদী টুইট করে বলেন, গণতন্ত্রে বিতর্ক, আলোচনা এবং মতবিরোধ থাকবেই। তবে জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষতি করা, জনজীবন বিপর্যস্ত করা অনৈতিক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর দাবি, বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর ও আগুন লাগানোতে যারা জড়িত ছিল শুধু তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে জনগণের কণ্ঠ রুদ্ধ করছে। এই আইন কেউ গ্রহণ করতে পারছে না বলেই এই বিক্ষোভ বলে দাবি করেছেন তিনি। নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে সোম ও মঙ্গলবার কলকাতায় মিছিল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও কড়া ভাষায় এই আইনটির সমালোচনা করেছেন।

 

Share this article
click me!