গত মে মাস থেকে ক্রমশই বেড়ে চলেছে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। গত জুন মাসের পর থেকে এই নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে এই নিয়ে ৬ দফা সামরিক আলোচনাও হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বেশ কয়েকটি জায়গায়া নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে চিনের ওপর। বেশ কয়েকটি এলাকায় নিয়ে এখনও ঐক্যমত্তে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিতে আরও আচোলনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে দুই পক্ষই। আগামী দিনে আলোচনা হবে বলে ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।
ষষ্ঠ দফার সামরিক বৈঠকে ভারত চিনে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে। আর্থাৎ এপ্রিল- মে মাসের আগে পূর্ব লাদাখে চিনারা যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। তবে চিন এই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। সূত্রের খবর পাল্টা চিন প্যাংগং লেকের দক্ষিণ খালি করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারতের কাছে। চিনের দাবি গত ২৯ অগাস্টের আগে প্যাংগংএর দক্ষিণ তীরে ভারত যে অবস্থানে ছিল সেখানে তাদের ফিরে যেতে হবে। অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে এই এলাকায় দুই সেনার মধ্যে প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। দুই দেশই বেশ সতর্কতামূলক গুলিও চালিয়েছিল। আর এই এলাকায় কৌশলগত অবস্থানে ভারত চিনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি পাহাড়ও দখল করেছে।
ডোকলামের পর থেকেই ঘুঁটি সাজাচ্ছিল চিন, লাদাখ উত্তাপের পরই তৈরি হয়েছে একাধিক বায়ু সেনা ঘাঁটি ...
২০২১-এর প্রথমেই ভারতের আসতে পারে করোনার প্রতিষেধক, কিন্তু সরবরাহ নিয়ে জমছে চিন্তার কালো মেঘ ..
লাদাখ জট কাটাতে টানা ১৪ ঘণ্টার বৈঠক, সেনা কর্তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন প্রশাসনিক কর্তারাও ...
ষষ্ঠদফার এই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, লেফট্যানেন্ট হরিন্দর সিং, লেফট্যানেন্ট পিকেজি মেমন আর বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। চুসুল সীমান্তের ওপারে মোলডোতে বৈঠক হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছিল বৈঠক। আর বৈঠক শেষ হয় রাত ১১টা নাগাদ। এই প্রথম সামরিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক এক শীর্ষ কর্তা। এর আগে ভারত ও চিনের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল চুসুল সেনাঘাঁটিতে। সামরিক পর্যায়ে বৈঠকের পাশাপাশি দুই দেশের কূটনৈতিক স্তরেও আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে লাদাখ সীমান্ত উত্তাপ প্রসমনে।