কীভাবে প্রাণ ফিরে পাবে কংগ্রেস? সভাপতি নির্বাচনের আগে তারই উপায় বললেন আনন্দ শর্মা


নেহেরু গান্ধী পরিবার কংগ্রেসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে। এবার শতাব্দী প্রাচীন দলটির কিছু অন্তর্ভুক্তমূলক ও যৌথ চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশে দলের পদ ছাড়ার পর এমনটাই বলেছেন কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা আনন্দ শর্মা।

Saborni Mitra | Published : Aug 24, 2022 1:39 PM IST / Updated: Aug 24 2022, 07:11 PM IST

নেহেরু গান্ধী পরিবার কংগ্রেসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে। এবার শতাব্দী প্রাচীন দলটির কিছু অন্তর্ভুক্তমূলক ও যৌথ চিন্তাভাবনার প্রয়োজন রয়েছে। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশে দলের পদ ছাড়ার পর এমনটাই বলেছেন কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা আনন্দ শর্মা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, নেহেরু গান্ধী পরিবারকে সঙ্গে রেখেই এগিয়ে যেতে হবে কংগ্রেসকে। 

আগামী সপ্তাহে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন।  সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে কংগ্রেস সদস্যরাই তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু তারপর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির দায় নিয়ে তিনি নিজেই সভাপতির পদ ছাড়েন। তাঁকে কেউ দলের ভরাডুবির জন্য দোষারোপ করেনি। তিনি নিজে থেকেই কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছেড়েছেন বলেও দাবি করেন আনন্দ শর্মা। তিনি আরও বলেন এটা রাহুল গান্ধীর নিজের সিদ্ধান্ত। 

তিনি আরও বলেছেন, 'আমরা ২০১৮ সালে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত করেছি, কিন্তু তিনিই পদত্যাগ করেছিলেন, আমরা তাকে পদত্যাগ করতে বলিনি। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে নেহেরু-গান্ধী পরিবার অবিচ্ছেদ্য থাকবে। কংগ্রেসের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সম্মিলিত চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন'। 

দিন কয়েক আগেই, হিমাচল প্রদেশের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপরেও তিনি জানিয়েছেন, দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি সর্বদা দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন। সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন আত্মসম্মানের সঙ্গে তিনি সমঝতা করবেন না। আনন্দ শর্মার অভিযোগ হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনে তাঁর পরামর্শ উপেক্ষা করা হয়েছে। সেই কারণেই তিনি এই পদ ছেড়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন আগামী দিনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নেবেন। হিমাচল প্রদেশের  সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবেই পরিচিত আনন্দ শর্মা।  গত ২৬ এপ্রিল আনন্দ শর্মাকে হিমাচল প্রদেশের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই বছরই শেষের দিকে হিমাচল প্রদেশে  বিধানসভা নির্বাচন। তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতেই জল ঢালল আনন্দ শর্মার ইস্তফা। 

তবে এদিন আনন্দ শর্মা বলেছেন, 'আমরা কিছু অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন আনলে, কংগ্রেসের পুনর্নবীকরণ এবং পুনরুজ্জীবন করা হবে। এ গ্রুপ বা বি গ্রুপ করে কংগ্রেস পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না, কংগ্রেসকে সম্মিলিতভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে'।

আনন্দ শর্মা প্রথমে ১৯৮২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তারপর ১৯৮৪ সালে রাজ্যসভায় তাঁকে নিয়ে আসেন ইন্দিরা গান্ধী। তখন থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। 

চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশ সফরে সোনিয়া গান্ধী, সঙ্গী রাহুল-প্রিয়াঙ্কা

একা এলে ২০ কোটি- সঙ্গে AAP বিধায়ক আনলে ২৫, দিল্লির সরকার ফেলার অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে
আসানসোলের জেলে ঠাঁই অনুব্রত মণ্ডলের, সেখানে গিয়ে জেরার অনুমতি সিবিআই-কে

Read more Articles on
Share this article
click me!