অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) আপার সিয়াং (Upper Siang) জেলা এক কিশোরকে অপহরণ করল চিনা পিএলএ বাহিনী (Chinese PLA)। গুরুতর অভিযোগ করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ তাপির গাও (Tapir Gao)।
অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) আপার সিয়াং (Upper Siang) জেলা থেকে মঙ্গলবার এক ১৭ বছরের এক কিশোরকে অপহরণ করেছে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (Chinese PLA)। বুধবার টুইট করে গুরুতর অভিযোগ করলেন অরুণাচল প্রদেশের লোকসভা সাংসদ তাপির গাও (Tapir Gao)। অপহৃত কিশোরের ছবি শেয়ার করে, বিজেপি (BJP) নেতা দাবি করেছেন, আরেকজনকেও অপহরণ করেছিল পিএলএ, কিন্তু, সে তাদের হেফাজত থেকে পালিয়ে এসেছে। ওই কিশোরই স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অপহরণের বিষয়টি জানিয়েছে।
বিজেপি সাংসদ আরও জানিয়েছেন, অপহৃত যুবকের নাম শ মিরাম তারন। সে জিডো গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সিয়ুংলার বিশিং গ্রামের লুংটা জোড় এলাকা থেকে ওই দুই কিশোরকে বন্দী করা হয়েছিল। তারা দুই বন্ধুর মিলে সেখানে শিকার করতে গিয়েছিল। তাপির গাও-এর দাবি, ২০১৮ সালেই সেখানে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে, ৩-৪ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছিল চিন। নিখোঁজ কিশোরের নিরাপদে মুক্তির জন্য জেলা প্রশাসন ও রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - বেহাত ৫০-৬০ কিমি, অরুণাচল দখল করছে চিন, লোকসভায় বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের
আরও পড়ুন - ১৯৮০-র গোড়া থেকেই অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে চিনা গ্রাম', সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
এই নিয়ে গত কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার, উত্তরপূর্ব ভারতের এই সীমান্তবর্তী রাজ্য থেকে ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করল চিনা পিএলএ বাহিনী। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বরে, অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবানসিরি (Upper Subansiri) জেলায় ম্যাকমোহন লাইনের (McMahon Line) কাছ থেকে, তনু বকর, প্রসাদ রিংলিং, নাগারু দিরি, ডংটু এবিয়া এবং তোচ সিংকাম নামে পাঁচ যুবককে অপহরণ করেছিল পিএলএ। তারাও সেখানে শিকার করতে গিয়েছিল। সেই সময়ই সেরা-৭ (Sera-7) নামে ভারতীয় সেনার এক টহলদারী অঞ্চল থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। ওই যুবকরা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মালবাহকের কাজ করত। দিন কয়েক পরে ভারতের কূনৈতিক চাপে, তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হযএছিল চিন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে, চিন সরকার অরুণাচল প্রদেশের ১৫ টি স্থানের নাম পরিবর্তন করে, জায়গাগুলি চিনের সরকারি মানচিত্রে অন্থর্ভুক্ত করেছে। ভারতের বিদেশ দফতর অবশ্য জানিয়েছিল, নাম পরিবর্তনে এলাকার অবস্থার পরিবর্তন হয় না। তার আগে ২০১৭ সালেও বেজিং, উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যটির ছয়টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছিল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে তাপির গাও দাবি করেছিলেন, সীমান্ত থেকে ভারতের ৫০-৬০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে একটি ব্রিজ বানিয়েছে চিন। তবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।