আজ একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিশ্চিত করেছেন যে ক্রয় শুরু হয়েছে এবং 'রাজনৈতিক বিরোধীদের' রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে একটি ভুল চিত্র উপস্থাপন করার চেষ্টা করার জন্য।
কেন্দ্র মঙ্গলবার পেঁয়াজের উপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদকারী কৃষক ও ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়েছে - একটি পদক্ষেপ যা বিশ্বাস করে যে দেশীয় বাজারে রান্নাঘরের প্রধান জিনিসের দাম বৃদ্ধি রোধ করবে - এবং বলে যে এটি অবিক্রীত স্টক কেনা শুরু করেছে। 'ঐতিহাসিক' দাম কুইন্টাল প্রতি ₹২,৪১০। কেন্দ্র প্রায় দুই লক্ষ টন অতিরিক্ত সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছে - প্রায় তিন লক্ষ টন ইতিমধ্যেই কেনা হয়েছে - বাফার স্টকে।
আজ একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিশ্চিত করেছেন যে ক্রয় শুরু হয়েছে এবং 'রাজনৈতিক বিরোধীদের' রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে একটি ভুল চিত্র উপস্থাপন করার চেষ্টা করার জন্য। 'আমি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের কোনো আতঙ্কিত বিক্রিতে প্রবৃত্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করব' গোয়েল বলেছেন। তিনি আরও বলেং 'NCCF (ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমারস ফেডারেশন) এবং NAFED (ভারতের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন) কে পেঁয়াজ সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' মহারাষ্ট্রের কৃষিমন্ত্রী ধনঞ্জয় মুন্ডে এনডিটিভিকে বলেছেন, উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিস এবং তিনি গোয়েলের সাথে কথা বলার পরে পেঁয়াজ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানির উপর আরোপিত ৪০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে কৃষকরা চিন্তিত ছিলেন (তারা মনে করেছিলেন) যে এটি (অভ্যন্তরীণ) বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে। তাদের অনুভূতি এবং তাদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তিনি (গয়াল) এই সিদ্ধান্ত নেন। একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত - যেখানেই কৃষকরা দেশে পেঁয়াজ চাষ করেন... গত বছর, NCCF এবং NAFED প্রতি কুইন্টাল ₹১,২০০ দরে পেঁয়াজ কিনেছিল।
কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রকাশিক বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্র সরকার ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই অগাস্ট মাসের শেষ থেকেই ৪০ শতাংশ রফতারি শুক্ল ধার্য করা হয়েছে। বর্তমানে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও পেঁয়াজের কিলো ৫০ টাকা।
অক্টোবরে পেঁয়াজের নতুন ফসল বাজারে আসবে। কিন্তু তার আগে বাজারে যাতে পেঁয়াজের ঘাটতি না হয় তারজন্যই রফতানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার যে পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছিল তাও নির্দিষ্ট কিছু এলাকার বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর সরকার ই-নিলাম, ই-কমার্স, ভোক্তা সমবায়, কর্পোরেশন পরিচালিত খুচরো আউটলেটগুলির মাধ্যমে পেঁয়াজ ছাড়ার পথ খুঁজছে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলা হবে। পেঁয়াজের বিতরণে দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারে সরকার। বর্তমান সরকার কম সরবরাহের সময় দামের যে কোনও অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি মোতাবেলার জন্য মূল্য স্থিতিশীলতা তহবিল বা পিএসএফ মধ্যে তিন লক্ষ টন পেঁয়াজ মজুত রেখেছে দিয়েছে।