করোনার গ্রাসে এবার জৌলুসহীন বিহু উৎসবও, মন ভাল করার দায়িত্ব নিল অসম পুলিশ
এবছর অসমে পালিত হচ্ছে না বিহু উৎসব
বিহু অসমের জাতীয় উৎসব
কিন্তু বিহুর রঙ এবার ফিকে অসমে
গৃহবন্দি অসমবাসীর মন ভাল করার দায়িত্ব নিল পুলিশ
Asianet News Bangla | Published : Apr 14, 2020 10:53 AM IST / Updated: Apr 14 2020, 04:27 PM IST
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলার নতুন বছরের প্রথম দিন। প্রতিটি বাঙালির কাছেই এই দিনটা বিশেষ। আত্মীয়, স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হই-হুল্লোড় করে এই দিনটা কাটাতে চান সব বাঙালিই। অসমবাসীর কাছেও এই দিনটার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিহু অসমের জাতীয় উৎসব। বিহুর এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এই উৎসবে জাতি , ধৰ্ম, বৰ্ণ নিৰ্বিশেষে সকলে একসঙ্গে উদযাপন করেন। বিহু মূলত এক কৃষি ভিত্তিক উৎসব।
ধর্মনিরপেক্ষ এই উৎসব আসামের সকল অংশে জাতিগত ধর্ম বা ধর্মীয় পটভূমি নির্বিশেষে উদযাপিত হয়। প্রথম বিহু উদযপিত হয় রঙ্গালি বিহু বা বোহাগ বিহু নামে, এপ্রিল মাসে পালিত হয় এই বিহু। দ্বিতীয় বিহুর নাম কাটি বিহু বা কোঙ্গালি বিহু, যা অক্টোবর মাসে পালন করা হয় এবং অবশেষে মাঘ বিহু, যা জানুয়ারি মাসে পালন করা হয়। প্রাণের উৎসব বলতে যা যা মনে পড়ে আমাদের, প্রাণ ভরে ঐতিহ্যগত খাবার দাবার খাওয়া, ঐতিহ্যগত পোশাক পরা আর ঐতিহ্যের শিকড়ে লেগে থাকা নাচ ও গানের বিপুল উচ্ছ্বাসে মেতে থাকে তিন মাসের তিন চরিত্রের বিহু। এখানে আসলে কৃষিই জলজ্যান্ত উৎসব।
কিন্তু এবার মন ভাল নেই অসমবাসীর ৷ প্রতিবছর এসময় অসমে সাজ সাজ রব ৷ এযে রঙ্গালি বিহুর সময় ৷ নাচে-গানে সাতদিন ধরে জমিয়ে চলে হুল্লোড় ৷ কিন্তু করোনার দাপটে এবছর বদলে গিয়েছে সবকিছু ৷ অতিমারি এই সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে লকডাউন ৷ প্রাণ বাঁচাতে গোটা ভারতের মতোই ঘরবন্দি অসমও ৷
অসমের মূল বিহু উৎসব এই রঙ্গালি বিহু ৷ চৈত্র সংক্রান্তির শেষ দিন থেকে শুরু করে টানা সাতদিন চলে এই উৎসব ৷ বৈশাখ মাসের পয়লা তারিখে গান-বাজনা ও বিহু নৃত্যের মাধ্যমে পালন করা হয় রঙ্গালি বিহু ৷ করোনার জেরে সমস্ত উৎসব অনুষ্ঠান বন্ধ, গৃহবন্দি সকলে ৷ বছরের প্রথম দিনে অসমবাসীর মন ভাল করতে তাই উদ্যোগ নিয়েছে অসম পুলিশ ৷ কাজের মাঝেই রাজধানী গুয়াহাটিতে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ নিজেরাই মেতেছেন নাচে-গানে। সেই সঙ্গে গানের মাধ্যমেই মানুষকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে লকডাউন মেনে এবারের উৎসবের সময়টা যেন সকলেই গৃহবন্দি থাকেন।
বর্তমানে গোটা দেশের মত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে অসমেও। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের শরীরে কোভিড ১৯ রোগের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। ফলে রাজ্যটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১। ইতিমধ্যে এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুও হয়েছে অসমে। এদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯।