এই বছর যদি এই সাতটি রাজ্যে নির্বাচন হয়, তাহলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মাত্র পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেটাও সরকার চায় একসঙ্গে সম্পন্ন করা হোক। এর মাধ্যমে দেশকে বারবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ দুটি নয়, সাতটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এ জন্য প্রস্তুতি জোরদার হয়েছে। এর মধ্যে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে নির্বাচন নিশ্চিত। এছাড়া কর্ণাটক, জম্মু ও কাশ্মীর, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডেও নির্বাচন করানোর চেষ্টা করছে সরকার।
এমনটা হলে কর্ণাটক, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে আগাম নির্বাচন হবে। এর মধ্যে তিনটি রাজ্যের সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চে এবং কর্ণাটকের মেয়াদ ২০২৩ সালের মে মাসে। একই সময়ে, জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৯ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন বলবৎ রয়েছে। একটি নির্বাচনও বাকি আছে। এখন সরকার নভেম্বরে একযোগে এই সমস্ত রাজ্যে নির্বাচন করার চেষ্টা করছে।
ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি জেপি নাড্ডা গত সপ্তাহে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কর্নাড সাংমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সময়ের আগে রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে সাংমার সঙ্গে কথা বলেছেন নাড্ডা। জানার চেষ্টা করেছেন সময়ের আগেই রাজ্যে নির্বাচন হতে পারে কি না? এমনটা হলে দলের কোনো ক্ষতি হবে কি সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
বিজেপির সংগঠন মন্ত্রী বিএল সন্তোষ মঙ্গলবার থেকে ত্রিপুরায় দুই দিনের সফরে গিয়েছেন। ত্রিপুরা সরকারের মেয়াদও শেষ হচ্ছে আগামী বছরের মার্চে। এমন পরিস্থিতিতে এখানে সময়ের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিএল সন্তোষ তার সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি, রাজ্য ইনচার্জ বিনোদ সোনকরের পাশাপাশি জোট দলের নেতা ও বিধায়কদের সাথেও বৈঠক করবেন।
বলা হচ্ছে, এই বৈঠকের মাধ্যমেও তিনি জানার চেষ্টা করবেন যে, এখানে যদি সময়ের আগে নির্বাচন হয়, তাহলে এর সুবিধা-অসুবিধা কী? জানিয়ে রাখি দুই মাস আগে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বদল করে বিজেপি।
কেন সময়ের আগে নির্বাচন করতে চায় সরকার?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিজেপি সরকার ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নিয়ে খুব গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করছে। কিন্তু সেটা হচ্ছে বলে মনে হয় না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। বিভিন্ন নির্বাচনের কারণে এই ব্যয় আরও বেড়ে যায়। সরকার ধীরে ধীরে এই ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছে।
এই বছর যদি এই সাতটি রাজ্যে নির্বাচন হয়, তাহলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মাত্র পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেটাও সরকার চায় একসঙ্গে সম্পন্ন করা হোক। এর মাধ্যমে দেশকে বারবার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
এর জন্য ২০২৩ সালে শুধুমাত্র একবার নির্বাচন করার প্রয়োজন হবে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালেও, একই সূত্রে, সরকার লোকসভা নির্বাচনের সাথে বাকি সাতটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করতে পারে।