ছুটির সকালে জমজমাট রেল স্টেশন চত্বর, হঠাৎ করেই চালু হয়ে গেল অশ্লীল ছবি। শোরগোল শুরু হয়ে গেলেও বন্ধ করা গেল না দীর্ঘক্ষণ ধরে।
দুর্ভোগের রাজ্য বিহারে রবিবার সকালে চরম বিড়ম্বনায় সাধারণ যাত্রী থেকে রেলের আধিকারিকরা। ছুটির সকালে সাড়ে ৯টা নাগাদ তখন সবে বাড়তে শুরু করেছে যাত্রীদের ভিড়। হঠাৎ করেই চমক লাগল ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের। টিভির দিকে চোখ যেতেই লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিলেন অনেকে। পর্দায় তাকানোর সাথে সাথেই লাগছে চমক, কারণ, স্টেশনের সমস্ত টিভির পর্দায় রমরমিয়ে চলছে পর্ন ভিডিয়ো।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পটনা স্টেশনে। ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সমস্ত বয়সের মানুষজন। সকলের সামনেই স্টেশনের টিভিতে এমন দৃশ্য চালু হয়ে যাওয়ায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে যান অধিকাংশ যাত্রী। তাড়াতাড়ি গিয়ে যাত্রীরাই বিষয়টি জানান জিআরপি এবং আরপিএফের আধিকারিকদের কাছে। অভিযোগ ওঠে যে, পর্ন ভিডিও চলতে থাকার খবর পেয়েও কিছুতেই সেই ভিডিয়ো বন্ধ করতে পারছিলেন না জিআরপি আধিকারিকরা। ফলে, দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতেই থাকে চমকপ্রদ ঘটনা।
রেল স্টেশনে লাগানো এই ধরনের টিভি পর্দায় সাধারণত বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। দেখানো হয় খবরের ক্লিপিং এমনকি, জনসচেতনতামূলক ভিডিয়োও। তবে কী দেখানো হবে, তা ঠিক করে নির্দিষ্ট এজেন্সি। রেলের তরফে একটি এজেন্সিকে বরাত দেওয়া হয়। তারাই বিষয়টি দেখাশোনা করে। পটনা স্টেশনের ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওই টিভি পর্দার দায়িত্ব ছিল ‘দত্ত কমিউনিকেশন’ নামে একটি সংস্থার। রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জিআরপির কাজ করতে দেরি হচ্ছে দেখে রেলের নিজস্ব পুলিশবাহিনী আরপিএফের তরফে যোগাযোগ করা হয় ওই সংস্থার সঙ্গে। অবিলম্বে বন্ধ করতে বলা হয় ওই পর্ন ভিডিয়োর ক্লিপিং।
কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ায় প্রায় তিন মিনিট সময় লেগে যায়। পটনার ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মের সমস্ত টিভি পর্দায় সেই তিন মিনিট ধরে টানা চলতে থাকে পর্ন ছবির দৃশ্য। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রেলের তরফে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্তও করা হয়েছে। একই সঙ্গে রেলের তরফে মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও দিতে বলা হয়েছে সংস্থাটিকে।
আরও পড়ুন-
অমৃতপাল সিং কে, ‘ওয়ারিস দে পঞ্জাব’ কী চায়, ভারত সরকার কেন বিরোধিতা করছে, জেনে নিন খালিস্তানিদের প্রকৃত দাবি
দু'দিনের সফরে ভারতে এলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, স্বাগত জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর