দিল্লির দূষণের পরিমাণ সামান্য হলেও কমাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাওয়াই সেই জোড়-বিজোড় নীতি। অর্থাৎ একদিন শুধু জোড় সংখ্যার নম্বর প্লেট থাকা গাড়ি চলতে পারবে, পরের দিন শুধু বিজোড় নম্বর প্লেটের গাড়ি। সোমবার থেকেই দিল্লিতে ফের চালু করা হল এই নিয়ম। কিন্তু রাজনীতির কারবারিদের দূষণের বিপদ নিয়ে খুব একটা মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। তাই প্রথম দিনেই এই আইন ভেঙে 'প্রতিবাদ' করে রাজনীতির জয় খুঁজলেন বিজেপি নেতারা।
মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নিজের গাড়িটিই বিজোড় সংখ্যার। তাই তিনি এদিন পুলকারে চড়ে কার্যালয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিল্লির স্বাস্থমন্ত্রী সত্যেন্দ্র কুমার জৈন ও শ্রমমন্ত্রী গোপাল রাই। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গাড়ির নম্বর প্লেটও বিজোড় সংখ্যার। তিনি কোনও গাড়ি না ব্যবহার করে সাইকেল চালিয়ে আসেন কার্যালয়ে।
কিন্তু, দিল্লির আপ সরকারের চালু করা এই নিয়ম মানতে নারাজ বিজেপি নেতারা। অসোকা রোডের বাড়ি থেকে বিজোড় নম্বর প্লেটের গাড়ি নিয়েই আয়কর অফিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন বিজেপি সাংসদ বিজয় গোয়েল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির দিল্লি শাখার সহসভাপতি শ্যাম জজু ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা। জনপথ রোডের কাছে তাঁর গাড়ি আটকায় ট্রাফিক পুলিশ। ৪০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয় বিজয় গোয়েলকে।
তবে এই জরিমানা দেওয়ার পরও নির্লিপ্ত বিজেপি সাংসদ। তাঁর মতে দূষণ রোধে জোড়-বিজোড় নীতি নয়, আসন্ন দিল্লি নির্বাচনকে মাথায় রেখে কেজরিওয়াল সরকার নাটক করছে। তারই প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তিনি তাঁর জরিমমানাকে দেখছেন।
এদিন সুপ্রিম কোর্টও দূষণ প্রতিরোধে কেজরিওয়াল সরকারের এই নীতি কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কেজরিওয়াল প্রশাসনকে পরের শুনানি-তে এই নীতি গ্রহণের ফলে দিল্লির বায়ুমণ্ডলের কতটা উন্নতি ঘটছে, সেই সম্পর্কে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে একই সঙ্গে বারবার ভোটের রাজনীতি নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে জনগণের প্রতি কর্তব্য পালনের কথা বলেছে আদালত। তা অন্তত ভারতের মতো দেশে দেখা যাওয়াটা এখনও সম্ভব নয়।