হাত ছেড়ে পদ্মে যোগ দিয়েই পুরস্কৃত সিন্ধিয়া, সমস্যায় তাঁর অনুগামী বিধায়করা

  • রাজ্যসভায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম প্রস্তাব বিজেপির
  • মধ্যপ্রদেশ থেকেই বিজেপির টিকিটে প্রার্থী
  • সমস্যায় সিন্ধিয়া অনুগামী বিধায়করা
  • দেখা করেই দিতে হতে পদত্যাগপত্র, বললেন স্পিকার

Asianet News Bangla | Published : Mar 11, 2020 1:32 PM IST / Updated: Mar 11 2020, 07:08 PM IST

কথা রেখেছে বিজেপি। হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর কিছুক্ষণ পরেই মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম। রাজ্যের একটি আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে ৪৯ বছরের জ্যোতিরাদিত্যকে। বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ও দিগ্বিজয় সিং সিন্ধিয়াকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চায়নি বলেই সূত্রেরখবর। তারপর থেকেই কংগ্রেসের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন জ্যোতিরাদিত্য। মঙ্গলবারই কংগ্রেসের সাধারণ সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া। গত ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন তিনি। ৩১ বছর বয়সে প্রথম কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। 

আরও পড়ুনঃ রানা কাপুরের নির্দেশেই ২০,০০০ কোটি টাকা ঋণ ইয়েস ব্যাঙ্কের, তালিকা রয়েছে অনিল অম্বানির সংস্থাও

আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যসভার নির্বাচন।  মধ্যপ্রদেশে আসনের সংখ্যা ১১। তারমধ্যে তিনটি আসন খালি হয়ে যাওয়ায় নির্বচন হবে। 

সূত্রের খবর দলবদলের মূল শর্তই ছিল রাজ্যসভার প্রার্থীপদ। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে সিন্ধিয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হতে পারেন তিনি। সেই ক্ষেত্রে বিজেপি তাঁর নাম প্রস্তাব করায় প্রথম পদক্ষেপে সফল হয়েছেন সিন্ধিয়া। কিন্তু কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁর অনুগামী ২১ বিধায়ক। মধ্যপ্রদেশের স্পিকার এনপি প্রজাপতি জানিয়েছেন ইমেলের মাধ্যমে ইস্তফাপত্র পাঠালে চলবে না। প্রত্যেক বিধায়ককে দেখা করেই দিতে হবে পদত্যাগপত্র। তিনি আরও বলেন আইন অনুযায়ী প্রথমে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। তারপর জানাতে হবে অভাব অভিযোগ। সবকিছু খতিয়ে দেখেই সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। 

আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশের সংকট নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল, সিন্ধিয়া নয় নিশানায় মোদি

মঙ্গলবার জ্যোতিরাদিত্য দল ছাড়ার পরই তাঁর অনুগামী ২১ বিধায়ক পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন ইমেলের মাধ্যমে। যারা রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে।  যারমধ্যে রয়েছেন বেশকয়েক জন মন্ত্রীও। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ধরে রাখতে সংখ্যা নিয়ে রীতিমত চাপানউতোর শুরু হয়েগেছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। সেই পরিস্থিতিতে স্পিকারের এই ভূমিকা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। 

Share this article
click me!