সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না মোদী-শাহদের। সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে পথে নেমেছে আমজনতা। আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরাও। এরমধ্যেই সদ্য ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে ক্ষমতা হারাতে হয়েছে বিজেপিকে। সামনেই দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের আগেই জোর ধাক্কা গেরুয়া শিবিরের। দুই পুরনো সঙ্গী শিরোমণি অকালি দল ও জননায়ক জনতা পার্টির সঙ্গে নির্বাচনি জোট হল না বিজেপির।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য রয়েছে। তাই তারা দিল্লির নির্বাচণে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিরোমণি অকালি দলের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি নামল পারদ, কলকাতায় ফিরল শীত
জননায়ক জনতা পার্টির তরফে জোট ছাড়ার ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় ঐক্যমত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে জোট ছাড়ছে দুষ্মন্ত চৌটালার দল। তেব শিরোমণি অকালি দল ও জেজেপির সঙ্গে জোট না হলেও জেডিইউ এবং এলজেপির সঙ্গে সমঝোতা পাকা করেছে পদ্ম শিবির। দিল্লিতে জেডিইউ এবং এলজেপি একটি আসনে লড়বে।
এই ডামাডোলের মধ্যেই সোমবার রাতে দিল্লি বিধানসভা ভোটের জন্য দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। নয়াদিল্লি কেন্দ্র থেকে এবার কেজরির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দিল্লিতে দলের যুব মোর্চার সভাপতি সুনীল যাদব। শিরোমণি অকালি দল জোট বাঁধবে না স্পষ্ট হওয়ার পরেই সোমবার রাতে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি শিবির।
দেখুন ভিডিও: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ১৪ এপ্রিলের তাৎপর্য, দেশের প্রথম 'বিজয় দিবস'
পেশায় আইনজীবী সুনীলকে দলের যুব মুখ হিসাবেই কেজরিওয়ালের মত হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড় করাল বিজেপি। সোমবার রাতে প্রকাশিত ১০ জন প্রার্থীর তালিকয়া হেভিওয়েট হিসাবে নাম রয়েছে তেজেন্দ্র বগ্গার। হরি নগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। যদিও তিলক নগর আসনটি পছন্দ ছিল দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র বগ্গার।
এর আগে প্রথম তালিকায় ৫৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। দিল্লিতে মোট আসন ৭০। দুই তালিকা মিলিয়ে এখনও ৬৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। বাকি তিনটি আসন জোটসঙ্গী এলজেপি এবং ডেডিইউ কে ছাড়া হয়েছে।