CAA: আজ রাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে মোদী সরকার, চার বছরের অপেক্ষা শেষ

আজ রাতেই জারি হতে পারে সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি। বলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র।

 

Saborni Mitra | Published : Mar 11, 2024 1:03 PM IST

আজ রাতেই সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। তেমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র। দিন কয়েক আগেই অমিত শাহ বলেছিলেন লোকসভা নির্বাচনের আগেই লাগু করা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ও আফগানিস্তান থেকে আসা সেদেশের সংখ্যালঘু মানুষদের এই দেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।

২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি সিএএ আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই আইন নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি বিরোধিতাও রয়েছে। এই আইনের প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল দেশ। আইন লাগু হওয়ার চার বছর পরে সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে কেন্দ্র সরকার।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আগেই বলেছিলেন , 'আমাদের মুসলিম ভাইদেরকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সিএএ -র বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা হচ্ছে।' সিএএ শুধুমাত্র পাকিস্তান , আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে ভারতে আসাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এটি কার্যকর করা হবে। এই আইনের মাধ্যমে কোনও ভারতীয়র নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য চালু করা হবে না।

সূত্রের খবর যে অনলাইন পোর্টালটি ইতিমধ্যেই নাম নথিভুক্ত করার জন্য প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই পোটার্লটি ড্রাই রান করছে, অর্থাৎ সেটি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর CAA-এর মাধ্যমে সেই শরণার্থীরা উপকৃত হবে যাদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই। দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে পাকিস্তান থেকে। দীর্ঘমেয়াদী ভিসার আবেদন মঞ্জুর করার কি CAAকেই ছাড়পত্র দেবে কিনা তা জেলা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত দুই বছরে ৯টি রাজ্যের ৩০ টিরও বেশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-র অধীনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন , পার্সি ও খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১-এর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মোট অমুসলিম সংখ্যালঘুকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল।

যদিও ২০১৯ সালে এই সংশোধনী আইন পাশ হয়েছিল। সেই সময় এই আইনের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এই দেশের সংখ্যালঘুরা। এই দেশে বসবাসকারীদের দাবি এই আইনের মাধ্যমে এই দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য করা হবে। সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতি লঙ্ঘন করা হবে।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!