গরু মরলে বড় বিষয় আর মানুষ মরলে নয়, দূষণ নিয়ে ফের অগ্নিশর্মা সুপ্রিম কোর্ট

  • দূষণ নিয়ে ফের সরকার পক্ষকে তুলোধোনা করল সুপ্রিম কোর্ট
  • এদিন আদালত প্রশ্ন তোলে গবাদি পশুর মৃত্য়ু বড় বিষয়, মানুষের মৃত্যু কি নয়
  • দিল্লি, হরিয়ানা ও পঞ্জাব তিন রাজ্যের মুখ্য সচিবদেরই ভর্ৎসনা করা হয়
  • এমনকী এবার তাঁদের শাস্তি দেওয়া হোক এমন কথাও বলা হয়

 

amartya lahiri | Published : Nov 6, 2019 12:55 PM IST

গবাদি পশু মরলে বড় ইস্যু হয়, আর মানুষ মরলে নয়? দূষণ নিয়ে দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা রাজ্যর পদক্ষেপ খতিয়ে দেখতে গিয়ে এমন প্রশ্নই ছুড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দিল্লি ও উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি শহরের বায়ুর গুণমান বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার পরও কৃষকদের খড় জ্বালানো বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য এদিন বিশেষ করে পঞ্জাবের মুখ্য সচিবকে রীতিমতো ভর্ৎসা করেছেন সুপ্রিম কোর্টর বিচারপতি অরুণ মিশ্র।

এদিন আদাবলতে তিনি বলেন, কোটি কোটি মানুষের জীবন-মৃত্য়ুর বিষয় এখানে জড়িয়ে। বিষ বায়ু ফুসফুসে নিয়ে অ্যাস্থামা-ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। সেখানে কোনও অবস্থাতেই কড় জ্বালানোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। সরাসরি পঞ্জাবের মুখ্য সচিবকে প্রশ্ন করেন, 'মানুষকে এবাবে মরে যেতে দেবেন? দেশকে ১০০ বছর পিছিয়ে যেতে দেবেন?'

এর জন্য কৃষকরা নয়, সরকারই দায়ী বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত। আদালতের মতে সাধারণ মানুষকে নিয়ে সরকারের কোনও মাথা ব্যথাই নেই। কাজেই তাদের ক্ষমতায় থাকারও অধিকার নেই। জন কল্যানের জন্য সরকার- এই ধারণাটাই হারিয়ে গিয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ওই খড় কিনে কেন নেওয়া হচ্চে না সেই প্রশ্নও তিন রাজ্যের সামনে ছুড়ে দিয়েছে আদালত। তাদের নির্দেশ, কৃষকরা যাতে খড় জ্বালা বন্ধ করেন, তার জন্য তাদের সচেতন করতে হবে সরকারকে।

অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, ২ লক্ষের বেশি কৃষককে খড় জ্বালানো থেকে নিরস্ত্র করা অসম্ভব। এতে আরই চটে যায় আদালত। বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, তাহলে এবার মুখ্য় সচিবদের শাস্তি দেওয়া হোক। কেন শুধু কৃষকরা শাস্তি পাবেন, শীর্যে বসে থাকা আধিকারিকদেরও শাস্তি  হওয়া উচিত। এমনকী মানুষকে রক্ষা করতে না পারলে কেন মুখ্য সচিবরা পদে থাকবেন সেই প্রশ্নও তোলা হয়। যদি সব দায়ই কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপানো হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারই গোটা দেশে শাসন পরিচালনা করুক, এমন কথাও বলেন বিচারপতি অরুন মিশ্র।

Share this article
click me!