বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কিত বিধি প্রণয়ন ও প্রয়োগের জন্য ৯ জুলাই পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংসদে প্রবল বিশৃঙ্খলা, দেশজুড়ি আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাশ হয়েছিল নাগরিকত্ব আইন। কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ ভিকে শ্রকনন্দের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার কথা ছিল। তবে নিয়মগুলি প্রস্তুতির অধীনে ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে,লোকসভা ও রাজ্যসভা সম্পর্কিত কমিটিগুলি নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ এর বিধিগুলি নির্ধারণের জন্য ৯ এপ্রিল থেকে সময় বাড়িয়ে ৯ জুলাই করেছে।
গত বছর ডিসেম্বরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন মহামারির কারণে সিএএ প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছিল। টিকা অভিযান শুরুর পরেই এটি কার্যকর করা হবে। ভারতে কোভিড টিকাকরণ শুরু হয়েছে ১৬ জানুয়ারি। সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইনটি কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে সংবিধিব্দ বিধি বাই আইন গঠন করা হবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কমিটি গুলির কাছে প্রয়োজনীয় কারণ উল্লেখ করেই সময় বাড়ানো যেতে পারে। আর এই মেয়াদ একসঙ্গে তিন মাসের বেশি হতে পারে না।
কৃষকদের আটকাতে দিল্লি পুলিশের দুর্ভেদ্য ব্যারিকেড, তীব্র সমালোচনা রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ...
'পুলিশের কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না', দিল্লি পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ...
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সামনেই চার রাজ্যে বিধানসভা ভোট। আর সেই কারণে সিএএ কার্যকর করতে কিছুটা বেশি সময় প্রয়োজন ছিল শাসকদল বিজেপি-র। কারণ পশ্চিমবঙ্গে সিএএ -কে হাতিয়ার করেই ভোট ময়দানে নেমেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে কৌলাশ বিজয়বর্গীয় সকলেই মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে সিএএ কার্যকর করার কথা বলে আসছে। তবে সিএএ কার্যকর হলে আবারও বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে কিছুটা হলেও চিড় পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কারণ আইন পাশ হওয়ার দিল্লির মত অসম ও পশ্চিমবঙ্গেও এই আইন বিরোধী আন্দোলন দানা বেঁধেছিল। ক্রমেই তা উগ্রমূর্তী ধারন করেছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি এই আইনটি কার্যকর করতে বাধা দেবেন। আর সেই কারণে হাতে বাড়তি সময় পাওয়ায় কিছুটা হলেও বিজেপি সুবিধে পাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারেও সিএএ যে গুরুত্ব পাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।