পূর্ব লাদাখ সেক্টর সংলগ্ন এলাকায় গত এক বছর ধরে নেওয়া চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির (PLA) পদক্ষেপগুলির তীব্র সমালোচনা করেছে ভারত। বলা হয়েছে সীমান্তে বিপুল সেনা জড়ো করা, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবার্তন করার জন্য দায়ি চিনের এই পদক্ষেপ। যা কিছুতেই ভারত বরদাস্ত করবে না। প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চিনের এই পদক্ষেপ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতেও লঙ্ঘন করেছে।
সম্প্রতি চিন বলতে শুরু করেছিলেন, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিন যে পদক্ষেপ করেছে তা , পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সারমিরক স্থাপনা একটি সাধারণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যার মূল উদ্দেশ্যেই হল দেশের পক্ষে প্রাসঙ্গিক আর চিনা ভূখণ্ডে 'প্রতিরোধ আর হুমকি' প্রতিরোধ করা।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, এটি বর্তমানে স্পষ্ট হয়েছে যে পশ্চিমাঞ্চলীয় সেক্টরে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রচুর সংখ্যক সেনা জড়ো করা আর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশ্ববর্তী এলাকায় একতরফা পরিবর্তন করার চেষ্টা - গত একবছর ধরেই চিন এজাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যা শান্তিকে মারাত্মভাবে বিঘ্নিত করে। সীমান্ত অঞ্চলে প্রশান্তি বজায় রাখতে চায় ভারত। চিনের এই পদক্ষেপ ১৯৯৩ ও ১৯৯৯ সালে দুই দেশের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল তাও লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও আলোচনাকে সম্মান করা অত্যন্ত জরুরি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা মেনে চলাও প্রয়োজন বলেও জানান হয়েছে।
ক্রেতাদের পাতে 'কৃত্রিম' মুরগির মাংস, সিঙ্গাপুরের পর আরও একটি দেশ শুরু করল পরীক্ষা
বুধবার চিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝা লিজিয়ান জানিয়েছিলেন পশ্চিমাখাতে চিনের সামরিক স্থাপনে একটি সাধারণ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা মাত্র। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের এই মন্তব্য। তবে ভারত চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের অধীনে কূটনৈতিক আলোচনা আবার কবে হবে- সেসম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে অরিন্দম বাগচি জানিয়েছে এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই।
করোনার ডেল্টা বিরুদ্ধে কাজ করবে টিকা, স্বস্তি দিয়ে জানাল অস্ট্রোজেনেকা আর ফাইজার ...
গত বছর মে মাসের প্রথম থেকেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে একাধিক স্থানে ভারত ও চিনা সামরিক স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উভয় দেশই একের পর এক কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনায় বসে। গত ফেব্রুয়াতিতে প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীর থেকে সেনা ও অস্ত্র প্রত্যাহার করা হয়। তবে ওখনও বেশ কিছু স্থানে ভারত ও চিন দুই দেশের সেনাবাহিনী চোখে চোখ রেখে অবস্থায় করছে। ডিসেঞ্জেজমেন্ট প্রক্রিয়াটি শেষ হয়েনি কয়েকটি স্থানে। সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা এখনও চলছে। মূলত হটস্প্রিং, গোগরা, দোপসাং-এই তিনটি একায়া চিনা সেনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে ভারত। বর্তমানে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।