মহারাষ্ট্রের ক্রমশই বাড়ছে করোনার উদ্বেগ। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭। সেখানে মহারাষ্ট্রের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১। করোনাতে আক্রান্ত হয়েই মহারাষ্ট্রের প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রীতিমত কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উদ্ধব ঠাকরে প্রাশসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করা হয়েছে। রবিবার মুম্বইতে আরও ৪ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। যাদের শরীরে মিলেছে করোনার জীবানু। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। সকাল ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের কথা হয়েছে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র সবরকম সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গতকালই উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করেছিলেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারির আকার নিয়েছে। মুম্বই, নভিমুম্বই, পুনে, থানেসহ রাজ্যের ৫টি শহরের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। দেশের অন্যত্র বা বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে বলেও জানান হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশের পর এবার গুজরাটে বিপাকে কংগ্রেস, রাজ্যসভা ভোটের আগেই পদত্যাগ ৪ বিধায়কের
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মুম্বই পুলিশ। বেসরকার পর্যটন সংস্থাগুলির দেশে অথবা বিদেশ ভ্রমণের ওপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। দলগত ভ্রমণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই আদেশ জারি থাকাবে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ লাভের পরই আচমকা ক্ষতির মুখে পড়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক, কিন্তু কেন, নিশানায় সেই রানা কাপুর
রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে অনুযায়ী দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭। মহারাষ্ট্রের করোনা আক্রান্ত ৩১। কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ২২। ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দিল্লিতে। রাজস্থানে ২ ও তেলাঙ্গনায় ৩ জন আক্রান্ত। উত্তর প্রদেশের আক্রান্তের সংখ্যা ১১। তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন তামিলনাড়ুতে। জম্মু কাশ্মীরে ২ আর লাদাখে আক্রান্ত ৩ জন। পঞ্জাব ও অন্ধ্র প্রদেশে এক জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই দেশে দু-জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কাউন্টডাউন শুরু, সোমবার কঠিন পরীক্ষার মুখে দাঁড়িয়ে কমল নাথ চিঠি লিখলেন অমিত শাহকে
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দেশের প্রায় সবকটি রাজ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা ছাড়া বাতিল করা হয়েছে একাধিক পরীক্ষাও। ইতিমধ্যেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে একাধিক ক্রীড় প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী। একাধিক রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিনেমা হল। বড়সড় জমায়েত করতেও নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাতিল করা হয়েছে একাধিক উড়ান।