দেশে করোনা মোকাবিলায় এবার 'কালো ঘোড়া' সেপসিস ড্রাগ, ভরসা রাখছে এইমস

  • করোনা যুদ্ধে নতুন অস্ত্র ভারতীয় বিজ্ঞানীদের
  • হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পর সেপসিস ড্রাগ
  • শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এই ওষুধ
  • পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু  এইমসে

Asianet News Bangla | Published : Apr 22, 2020 3:42 AM IST / Updated: Apr 22 2020, 09:19 AM IST

করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে। কিন্তু নতুন এই ভাইরাসের এখনও কোনও প্রতিষেধক মেলেনি। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে আরও কমপক্ষে এক দেড় বছর লাগবে। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলি। এই অবস্থায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উপরেই ভরসা রাখছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ আমেরিকা সহ অন্যান্যরা। তবে এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা। এই অবস্থায় নতুন আলো দেখাতে শুরু করেছেন ভারতীয় গবেষকরা। সেপসিস রোডের জন্য তৈরি করা একটি ওষুধ কোভিড ১৯ রোগ নিরাময়ে সফল হবে বলেই মনে  করছেন বিজ্ঞানীরা।

করোনা আক্রান্ত সমাজকর্মীর সংস্পর্শে ইমরান, সংক্রমণের আশঙ্কা এবার পাক প্রধানমন্ত্রীর

আশা জাগিয়ে সিডনিতে খুলল সমুদ্র সৈকত, অ্যাডিলেইডের রাজপথে খেলায় ব্যস্ত ক্যাঙ্গারু

লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষ, জনশূণ্য রাস্তায় নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে পশুরাজের পরিবার, ভাইরাল হল ছবি

২০১২ সালে চণ্ডীগড়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ একটি ওষুধ তৈরি করেছিল। এই ওষুধ রক্তের রোগ সেপসিসকে কাবু করতে সক্ষম হয়েছিল। যার পলে সেপসিস রোগে মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশও কমে যায়। এবার সেই ওষুধকেই পরীক্ষামূলক ভাবে করোনা আক্রান্তদের উপর প্রয়োগ করতে চলেছেন চিকিৎসকরা। পিজিআইএমইআর ছাড়া দিল্লির এইমস এবং ভোপালের এইমসে গুরুতর করোনা আক্রান্তদের ওষুধটি দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল।

বিশ্বজুড়ে সেপসিসের কারণে পাঁচজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।  এটি রক্তের বিষ হিসেবেই পরিচিত। প্রতি বছর বিশ্বে  এক কোটি ১০ লক্ষ মানুষ সেপসিসে মারা যাচ্ছেন। যে সংখ্যা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যার চেয়েও বেশি। আহমেদাবেদর ক্যাডিলা ফার্মাসিটিক্যালসের তৈরি ওষুধটি সেপসিস রোগের ভয়াবহতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করাই এই ওষুধের বিশেষত্ব বলে জানাচ্ছেন কাউন্সিল অব সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ শেখর মান্ডি। সেই কারণেই করোনা আক্রান্তের শরীরে এই ড্রাগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে বলেই আশাবাদী দেশের বিজ্ঞানী-গবেষকরা। কারণ, কোভিড ১৯ রোগের শিকার হওয়াদের সঙ্গে রক্তের রোগ সেপসিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশকিছু ক্লিনিক্যাল মিল দেখতে পেয়েছেন চিকিৎসকরা। 


 

Share this article
click me!