দক্ষিণ- পূর্ব আরব সাগরের ওপরে ঘনীভূত হচ্ছে একটি বড়সড় ঘূর্ণিঝড়। সর্বশেষ আবহাওয়ার আপডেটে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে যে, এই সাগরের ওপর বায়ুর মধ্যম ট্রপোস্ফিয়ারিক স্তর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি রয়েছে।
210
এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলেই একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় এটি প্রায় উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব- মধ্য আরব সাগরের ওপর এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
310
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে ঘনীভূত হলে এর নাম হবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Cyclone Biporjoy)। এই নামটি বাংলাদেশের তরফে দেওয়া হয়েছে।
410
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে, “ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। দেশের পশ্চিম উপকূল বরাবর উত্তর দিকে এর গতিবিধি বোঝা যাচ্ছে।
510
কিছু মডেল আবার এরকমও বলছে যে, প্রাথমিকভাবে উত্তর দিকে এর গতিবিধি থাকতে পারে। এরপর সেটি ক্রমশ উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে ঘুরে যেতে পারে।
610
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে কেরল থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত দেশের পশ্চিম উপকূল বরাবর ভালোরকম বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঝড় মৌসুমী বায়ুকে সময়মতো মুম্বই পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
710
৮ থেকে ১০ জুনের মধ্যে কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্র উপকূলে সমুদ্রের অবস্থা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ৯ থেকে ১২ জুনের মধ্যে গুজরাট উপকূলে ভয়াবহ রূপ নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’।
810
খারাপ খবর হল, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরব সাগরের মধ্যেই আটকে থাকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ফলত, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা আসতে দেরি হতে পারে। এখনও পর্যন্ত কেরল রাজ্যেই বর্ষা ঢোকেনি। আরও দু-তিন দিন এভাবেই যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
910
১০ জুন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন যে, ৯ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
1010
কলকাতা থেকে শুরু করে উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর পর্যন্ত, সব জেলাতেই প্রচণ্ড গরম আর ঘর্মাক্ত আবহাওয়া চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।