ভারতে যে ভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্করতম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আজ দেশজুড়ে শুরু হয়েছে জনতা কারফিউ। মূলত বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের থেকেই করোনা ছড়াচ্ছে এদেশে। সেকারণে রবিবার থেকে আগামী ৭ দিনের জন্য এদেশে সবরকম আন্তর্জাতিক বিমান ভারতের মাটিতে নামতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হয়ে গেল। আমেরিকা ও কানাডা থেকে আসা ১০০ জন ভারতীয়কে বিমানবন্দরে থেকেই ফের ফিরে যেতে হল আমস্টারডামে।
জানা যাচ্ছে নেদারল্যান্ডের কেএলএম এয়ারলাইন্সের বিমানটি আমস্টারডম থেকে দিল্লিতে আসার জন্য ১২০ জন ভারতীয়কে নিয়ে রওয়ান দিয়েছিল। এই ভারতীয়দের অধিকাংশই ছিলেন আমেরিকা ও কানাডা ফেরত। বিদেশে করোনা আতঙ্কের কারণেই দেশে ফেরার লক্ষ্যএ বিমানে চড়ে বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেশে আর ফেরা হল না। বিমানটিকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে কএলএম এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে জানান হয়। ফলে যাত্রী নিয়ে আমস্টারডমেই ফিরে যেতে হয় বিমানটিকে।
কোন ব্লাড গ্রুপে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
করোনা আতঙ্কের মাঝেই আশার আলো, মারণ রোগ প্রতিরোধ করতে নতুন দিশা দিচ্ছে সুপার কম্পিউটার
গরম ও আর্দ্রতা কোনও কিছুতেই কাবু হবে না কোভিড-১৯, উদ্বেগ বাড়িয়ে জানিয়ে দিল 'হু'
এভাবে বিদেশে থাকা ভারতীয়দের ফেরত পাঠানকে ঘিরে বিমানটির যাত্রী ও তাঁদের পরিবার-পরিজনদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। যদিও ডিরেক্টরেট অভ সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, বিমানটির ফ্লাইট প্ল্যানের কোনও অনুমোদন ছিল না। সেই কারণেই বিমানটিকে ভারতের মাটিতে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এদিকে এদেশে ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি। গত শনিবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজস্থান সরকার। গুজরাত প্রশাসনও রাজ্যের ৪ শহর আহমেদাবাদ, সুরাত, রাজকোট এবং বরোদা ২৫ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।