রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে উত্তপ্ত তামিলনাড়ু বিধানসভা, ওয়াকআউট করলেন তামিল রাজ্যপাল আরএন রবি

 

আবারও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে এল তামিলনাড়ুতে। এবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন রাজ্যপাল আরএন রবি। যা নিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি।

Web Desk - ANB | Published : Jan 9, 2023 11:00 AM IST

তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল  আরএন রবি সোমবার বিধানসভার অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেছেন। আবারও নতুন করে তামিল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিবাদ শুরু হয়েছে। সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের সময় রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া বক্তৃতা রেকর্ড নিয়ে ও রাজ্যপাল প্রথাগত ভাষণ থেকে যে অংশগুলি যোগ করেছে তা এড়িয়ে যেতে বা সরিয়ে দিতে আবেদন জানিয়েছিলেন তামিল মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। বিধানসভায় শুধুমাত্র রাজ্যপালের মূল বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়েছিল। যা রাজ্য সরকার প্রস্তুত করেছিল- স্পিকার অনুবাদ করেছিল। এই ঘটনার পরই রাজ্যপাল বিধানসভা ত্যাগ করেছেন। জাতীয় সঙ্গীত পর্যন্ত অপেক্ষাও রাজ্যপাল করেননি।

রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের তৈরি করা ভাষণটির কিছু অংশ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা উল্লেখ ছিল, তামিলনাড়ুতে শান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল ও পেরিয়ার , বিআর আম্বেদকর, কে কামরাজ , এএন আন্নাদুরায়ই ও করুণানিধির মত নেতাদের কথা বলা হয়েছিল। এই বিশেষ অংশটি রাজ্যপাল এড়িয়ে যাওযার পরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন যে ডিএমকে যে দ্রাবিড় মডেলের কথা রাজ্যপালের বক্তৃতার রেখেছে তার রেফারেন্সও রাজ্যপাল পড়েননি। এরপরই এমকে স্ট্যালিন আর রেজুলেশনে বলেছিলেন যে রাজ্যপালের পদক্ষেপ সভার ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে যাচ্ছ।

ক্ষমতাসীন ডিএমকে ও তাদের জোটবন্ধু কংগ্রেস, সিপিআই, সিপিএম- এর আগেই রাজ্যপালের ভাষণ বয়কট করেছিল। প্রতিবাদ করার পরে স্লোগান তুলেছিল বিলগুলি পাশ করতে রাজ্যপাল অযথা দেরি করছেন। যার মধ্যে রয়েছে অনলাইনে জুয়া খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আইন, বিশ্ববিদ্যালের উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার আইন। বিধানসভায় পাশ হওয়ার ১২টি বিল রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছে সরকার পক্ষ।

এদির আরএন রবির বিরুদ্ধে তালিম বিধানসভায় 'তামিলনাড়ু ছাড়ো' স্লোগানও উঠেছিল। ডিএমকে বিধায়করা বিজেপি, আরএসএস মতাদর্শ চাপিয়ে দেবেন না বলে স্লোগান দিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন রাজ্যপাল তামিল সরকারকে কখনই সাহায্য করে না।

অন্যদিকে বুধবারই একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেছিলেন, তামিলনাড়ুকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। দ্রাবিড় জাতি ও সংবিধানকে একত্রিত করা হয়েছে। কিন্তু এটি শক্তিশালী করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এখনও দ্রাবিড় জাতির মানুষরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে মনে করতে চান না বলেও অভিযোগ করেন। কিন্তু তারা এই দেশ ও জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সারা দেশের জন্য যা প্রযোজ্য তা তামিলনাড়ুতে নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রাজ্যপালের আরও অভিযোগ, এই বিষয় নিয়ে একাধিক গবেষণা হয়েছে- যা মিথ্যা আর কল্পকাহিনী। আগামী দিনে সত্যিকে মেনে নিতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

রাজ্যপাল ও রাজ্যসরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। শাসক দল ডিএমতি রবিকে বিজেপির নির্দেশে কাজ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। অন্যদিকে ডিএমকে সাংসদ টিআর বালু আগেই রবির নিন্দা করেছিলেন রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে দেওয়ার পরামর্শ দানের জন্য তিনি বলেছিলেন রাজ্যপাল রাজ্যে বিজেপির দ্বিতীয় সভাপতি হিসেবে কাজ করছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিৎ।

আরও পড়ুনঃ

Joshimath Sinking: ভূগর্ভে ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে যোশীমঠ, জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ছন্দা কোচরের গ্রেফতারি আইন মেনে হয়নি, ঋণ মামলায় দম্পতিকে মুক্তির নির্দেশ আদালতের

'প্রবাসী ভারতীয়রাই দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর', ইন্দোরে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Share this article
click me!