দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ে ২০ হাজার লাড্ডু বিলি, ওড়িশার আদিবাসীদের মধ্যে অকাল দীপাবলি

ওড়িশার বেশ কিছু আদিবাসী গ্রাম সেজে উঠেছে আলোয়। যেন অকাল দিওয়ালি। আগে থেকেই বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ময়ুরভঞ্জ জেলা। দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি আর পোস্টারের মুড়ে ফেলা হয়েছে রাস্তা।

Saborni Mitra | Published : Jul 21, 2022 6:30 PM IST / Updated: Jul 22 2022, 08:11 AM IST

দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ইতিহাস তৈরি করলেন দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় তাঁর নিশ্চিত ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। তিনি দেশের প্রথম আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। ওড়িশার বাসিন্দা দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশির হওয়া ওড়িশার আদিবাসীদের মধ্যে। ময়ুরভঞ্জের কন্যা আর কয়েক দিন পরেই হবেন  রাইসিনা হিসলের বাসিন্দা। এই খবর পাওয়ার পরেই ওড়িশার আদিবাসী গ্রামগুলিতে শুরু হয়ে গেছে উৎসব। 

ওড়িশার বেশ কিছু আদিবাসী গ্রাম সেজে উঠেছে আলোয়। যেন অকাল দেওয়ালি। আগে থেকেই বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল ময়ুরভঞ্জ জেলা। দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি আর পোস্টারের মুড়ে ফেলা হয়েছে রাস্তা। তাঁর জয়ের খবর আসা মাত্রই রায়রংপুরের বাসিন্দার বাড়ির সামনে বাজি পোড়ানো হয়। উৎসবের মেজাজ দ্রৌপদীর বাবার বাড়়ির গ্রাম উপরবেদাতেও। একই ছবি শ্বশুরবাড়ি পাহাড়পুরেও। 

স্থানীয় বিজেপি সূত্রের খবর দ্রৌপদী বাড়ি রায়রংপুরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় প্রায় ২০ হাজার লাড্ডু বিলি হয়েছে। দ্রৌপদীর প্রতিবেশী এক মহিলা জানিয়েছেব তাঁর জয়ে এলাকার সব মানুষ বিশেষত মহিলারা খুব খুশী। মহিলার গর্বিত। তিনি আরও বলেছেন তাঁদের দিদি আজ দেশের সর্বোচ্চ পদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে এতে আদিবাসী সমাজের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তবে জয়ের বিষয়ে তাঁরা যে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তা জানাতে ভোলেননি। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন ওড়িশা থেকে কেউ দেশের রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন এতেই তাঁরা খুশি। 

দ্রৌপদীর গ্রাম নয় সমগ্র ওড়িশা জুড়েই ধরা খুশির হওয়া। শুধু বিজেপি কর্মী নয়। আনন্দে সামিল হয়েছেন বিজু জনতা দলের নেতা ও কর্মীরাও। এই জয়কে ওড়িশার মানুষ কোনও রাজনৈতিক জয় নয় বরং ওড়িশার সাধারণ মানুষের জয় হিসেবেই দেখছে। 

দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালে ২০ জুন ওড়িশার ময়ুরভঞ্জের একটি আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিএ পাশ করার পর ওড়িশা সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরি করেন। ১৯৭৯-১৯৮৩ সাল পর্যন্ত এই চাকরি করেছিলেন। তারপর ১৯৯৪ সালে রায়রাংপুরের অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। ২০২২ সালের জুনে, এনডিএ সরকার রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর জন্য দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করেছে।

দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৯৭ সালে রাজনীতিতে পা রাখেন। ওড়িশার রায়রাংপুর জেলা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী হন ও জয় লাভ করেন। তিনি সভ-সভাপতি হয়েছিলেন। ২০০২-২০০৯ সাল পর্যন্ত ময়ূরভঞ্জ জেলার বিজোপির নেত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৪ সাল রায়রাংপুর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডে চলে আসেন দলের নির্দেশে। ২০১৩ -১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। 

আরও পড়ুনঃ 

'এক হাঁড়ি রসগোল্লা নয়তো পাগলা গারদ', মমতাকে চ্যালেঞ্জ বিকাশ ভট্টাচার্যের

ইডি অফিসে রাত ৯টা পর্যন্ত থাকার ইচ্ছে প্রকাশ সনিয়ার, নিজেই চাইলেন সোমবার হাজিরা দিতে

শ্যুটিং ফ্লোরে এতটাই কামাতুর হয়ে পড়েছিলেন রেখা-ওম পুরী, তারপরই ঘটিয়ে ছিলেন এই কাণ্ড

Read more Articles on
Share this article
click me!