সোমবার রাতে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দুটি ট্রাকে করে ৪ টন ইলিশ আসে। ব্যবাসায়ী সূত্রের খবর বাংলাদেশ সরকার চলতি বছর এই রাজ্যে ২৪৫০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে।
কথা রাখলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভারত সফরের মধ্যেই ৪ টন পদ্মার ইলিশ এল বঙ্গে। এতে খুশি এই রাজ্যের ব্যবসায়ীরা । পুজোর মধ্যে আরও ইলিশ আসবে বলেও ব্যবসায়ী সূত্রের খবর। বাংলাদেশের এই ইলিশ কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি সর্বত্রই পাওয়া যাবে। মাছগুলির ওজন ৭০০ থেকে ১৮০০ গ্রাম।
এই রাজ্যের মাছ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশেকর কাথ থেকে ২ হাজার টন ইলিশ চেয়েছিলেন। পাশাপাশি এই রাজ্যে বা ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর যাবে শেখ হাসিনা যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে ছিলেন তা যাতে দ্রুত তুলে নেওয়া হয় তারও আর্জি জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর বাংলাদেশ এই রাজ্যে ৪ হাজার টন ইলিশ নির্ধারিত সময়সীমা অর্থা ৩১ অক্টোবরের মধ্যে পাঠাতে রাজি হয়েছে।
সোমবার রাতে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দুটি ট্রাকে করে ৪ টন ইলিশ আসে। ব্যবাসায়ী সূত্রের খবর বাংলাদেশ সরকার চলতি বছর এই রাজ্যে ২৪৫০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে।
পুজোর আগে পদ্মার ইলিশ এই রাজ্যে আসায় খুশি ভরতীয় মাছ ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন প্রতি বছরই এই রাজ্যে পদ্মার ইলিশের চাহিদা থাকে। কিন্তু সম্প্রতী হাসিনা সরকার এই রাজ্যের ওপর ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তাতে এই রাজ্যে পদ্মার ইলিশ আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি ইলিশের চাহিদাও তুঙ্গে থাকায় দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। তবে চলতি বছর পদ্মার ইলিশ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আসা তাহলে ইলিশের দাম আর আকাশ ছোঁয়া হবে না।
শুল্র দফত থেকে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সবমিলিয়ে ২৪৫০ টন পদ্মার ইলিশ পাঠানোর ছাড়পত্র দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আর সেই কারণে ইতিমধ্যে ৪৯টি ট্রাককে ছাড়পত্র দিয়েছিলে বাংলাদেশ যাওয়ার। প্রথম ধাপে ৪ টন ইলিশ এসেছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে ৮ টন ইলিশ আসার কথা রয়েছে। দুই এক দিনের মধ্যেই স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাবে পদ্মার ইলিশ।
ব্যবসায়ী সূত্রের খবর গত বছর বাংলাদেশ সরকার এই রাজ্যে ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে বাংলাদেশ থেকে এসেছিল মাত্র ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ। ব্যবাসায়ীরা জানিয়েছেন এই বছর বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাঁরা ২ হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন চেয়েছেন। আমদানির সময়সীমা ১ মাস থেকে বাড়িয়ে ৪৫ দিন করার কথাও বলেছেন। ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ভারতে ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তারপর থেকে রীতিমত মেপে মেপে ইলিশ রফতানি করা হয়। এই বছর বাংলাদেশের সরকারের কাছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তারা।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ইলিস উৎপাদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। নদীর দুষণ-এর জন্য সবথেকে বেশি দায়ি। তাই এই রাজ্যে বর্ষাকালে ইলিশের দাম থেকে উর্ধ্বমুখী। আম-বাঙালির পাতে ইলিশ ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণেই পদ্মার ইলিশের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। চাহিদা বেশি থাকায় আর আমদানী কম থাকায় এই রাজ্যে কিছুতেই ইলিশের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আসে না। তাই হাসিনা সরকার যদি ব্যবসায়ীদের আবেদনে মঞ্জুরি দেন তাহলে পুজোর পাতে পড়তেই পারেই পদ্মার ইলিশ।
'ইন্ডিয়াস বিগেস্ট পাপ্পু' লেখা টি-শার্ট পরে সংসদে ডেরেক, অভিষেকের 'বাণী' তৃণমূলের নতুন স্লোগান
ভারতের সাহায্য তৈরি হবে বাংলাদেশের সবথেকে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোদী-হাসিনা স্বাক্ষর করলেন ৭টি মউতে