আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নির্বাচনে। নতুন ভোটারদের আকর্ষিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বয়স্ক ভোটারদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার দিকেই বিশেষ নজন দেওয়া হবে।
গুজরাট বিধানসভার দিন ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কনিশনার রাজীব কুমার। গুজরাটে ভোটারের সংখ্যা ৪য়৯ কোটি। গ্রামীণ এলাকায় ৩৪ হাজার সহ ৫১ হাজার ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। গুজরাটে ভোট গ্রহণ হবে দুটি দফায়। ১ ও ৫ ডিসেম্বর। ভোট গণনা হবে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে ৮ ডিসেম্বর। প্রথম দফার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৫ নভেম্বর। আর দ্বিতীয় দফার বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১০ নভেম্বর।প্রথম দফার প্রার্থীরা ১৪ নভেম্বর ও দ্বিতীয় দফার প্রার্থীরা ১৭ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ১৭ ও ২১ নভেম্বর। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে নির্বাচনে। নতুন ভোটারদের আকর্ষিত করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বয়স্ক ভোটারদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার দিকেই বিশেষ নজন দেওয়া হবে। রাজ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি। রাজ্যে সমস্ত ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।
১৮২ আসনের গুজরাট বিধানসভায় গত নির্বাচনেও একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দখলে ১১১টি আসন। বিরোধীদের দখলে রয়েছে মাত্র ৬৭টি আসন। যারমধ্যে কংগ্রেসের দখলে ৬৫ বিধায়ক রয়েছে। এনসিপি ও আইএনডি-র ১টি করে আসন রয়েছে। আর বিটিপির দখলে রয়েছে ২টি আসন। বিধানসভায় খালি রয়েছে ২টি আসন। এবার
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত গুজরাট বিধানসভায় এবার তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে অরবিন্দ কেরজিওয়ালের আম আদমি পার্টি। পঞ্জাবে সরকার গঠনের পর এবার কেজরিওয়াল যদি মোদীর রাজ্যে বড় সাফল্য পান তাহলে তা তাঁর দলের পক্ষে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন এখন বিজেপির কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের। কারণ গুজরাটে এখনও বিজেপির মুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী ম্যাজিক অক্ষত রয়েছে কিনা তা ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আরও একবার পরীক্ষা করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বিজেপি। তবে গত নির্বাচনের পরে এই রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থা তেমন ভাল নয় বলেও রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত। কারণ এই রাজ্যে এখনও কংগ্রেস কোনও মুখ তৈরি করতে পারেনি। তারপর হার্দিক প্যাটেলের দল বদলও কংগ্রেসের কাছে একটি ধাক্কা। কারণ প্যাটেল ভোট কংগ্রেসের সঙ্গে থাকবে না বলেও মনে করছে রাজ্যের একাংশের মানুষ। তাই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই রাজ্যে আপ কার ভোট কাটবে তাও ওপরে অনেকটাই নির্ভর করছে ২০২৪ সালের ফলাফল।