করোনাভাইরাস মহামারির দাপট চলছেই
তারমধ্যেই হবে বিহারের বিধানসভা ভোট
কিন্তু এই বিপর্যয়ের মধ্যে কীভাবে হবে নির্বাচন
ভোটদানের খোলনলচেই বদলে দিল নির্বাচন কমিশন
আসছে বিহারের বিধানসভা ভোট। কিন্তু, করোনাভাইরাস মহামারি থামার এখনও কোনও লক্ষণ নেই। কাজেই এর মধ্যেই করতে হবে নির্বাচন। বলাই বাহুল্য স্বাভাবিক সময়ের থেকে অনেকটাই আলাদা হবে করোনা বিশ্বের ভোটদান। শুক্রবার ভারতের নির্বাচন কমিশন মহামারি মধ্যে সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের ভোটদানের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল।
তারা জানিয়েছে, নিবন্ধিত ভোটারদের ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে যাওয়ার আগে তাদের গ্লাভসস দেওয়া হবে। এছাড়া ভোটারদের ফেস মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার-ও দেওয়া হবে। তাদের সঙ্গে কোনও বাচ্চা এলে তাদের ফেসিয়াল পিপিই কিট দেওয়া হবে। এছাড়া উপসর্গ আছে এমন কোনও কোভিড-১৯ রোগী যাতে বুথে ঢুকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে পোলিং বুথগুলিতে থার্মাল স্ক্যানারও থাকবে।
এর আগে বুটোর কাজে নিযুক্ত কর্মীরাই শুধু পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারতেন। এবার এই সুবিধা পাবেন প্রতিবন্ধী, ৮০-র ঊর্ধে বয়স এমন ব্যক্তিরা, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলিতে নিযুক্ত ব্যক্তিরা এবং যাঁরা কোভিড-১৯ পজিটিভ কিংবা সম্ভব্য আক্রান্ত - তাঁরাও।
অন্যদিকে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে, অযৌক্তিক শারীরিক যোগাযোগ কমানোর জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি অনলাইন করে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র, এফিডেফিট-এর সঙ্গে সঙ্গে এই প্রথমবার প্রার্থীরা জামানতের অর্থ-ও অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমেই দিতে পারবেন। ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীসহ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে পাঁচজনে। জনসভা বা রোড শো আয়োজনের বিষয়টি নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্র এই বিষয়ে কী নির্দেশ দেয় তার উপর।
মনে করা হচ্ছে আসন্ন বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঘোষণা করা হতে পারে। ভোট হতে পারে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। তবে বিহারে রোভিড পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে মোট ১.১৫ লক্ষ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে, ৫৭৪ জনের।