নির্বাচনী বন্ডের সর্বশেষ তথ্য স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে ২০২১ সালের এপ্রিল ও ২০২৩ সালের নভেম্বর অরবিন্দ ফার্মা ৫২ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল
নির্বাচনী বন্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে দিল্লির মদনীতি। কারণ নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে দিল্লির মদ নীতি মামলায় যুক্ত একজন নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে অর্থ সাহায্য করেছে। বন্ডের ক্রেতা মদ নীতি মামলায় বর্তমানে জামিনে মুক্ত শরৎ চন্দ্র রেড্ডি, যিনি অরবিন্দ ফার্মার মালিক। ২০২২ সালের নভেম্বরে মদ নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরের বছরই তিনি কোটি কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিলেন।
নির্বাচনী বন্ডের সর্বশেষ তথ্য স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে ২০২১ সালের এপ্রিল ও ২০২৩ সালের নভেম্বর অরবিন্দ ফার্মা ৫২ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। সেখান থেকে সবথেকে বড় অংশের টাকা বিজেপিকে অনুদান দিয়েছে সংস্থা। নির্বাচনী বন্ডের তথ্য অনুযায়ী নির্বাচনী বন্ডের সবথেকে বড় অংশ প্রায় ৬৬ শতাংশ পেয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি অনুদানের অংশ পেয়েছে ২৯ শতাংশ। বাকি টাকা পেয়েছে তেলেগু দেশম পার্টি।
তথ্যে আরও জানা গেছে ৫২ কোটি টাকার বন্ডের মাধ্যেমে ৫ কোটি টাকা ২০২২ সালে কেনা হয়েছিল অরবিন্দ ফার্মার মালিক শরৎ রেড্ডি গ্রেফতারের পাঁচ দিন পরে। তাঁকে ১০ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাঁর সংস্থা নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল মাত্র ৫ দিন পরে, ১৫ নভেম্বর। পরের বন্ড কেনা হয়েছিল ২১ নভেম্বর। সেই সময়ও পাঁচ কোটি টাকার বন্ড কেনা হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুনে দিল্লির একটি আদালত শরৎ রেড্ডিকে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল।
অন্যদিকে এই নির্বাচনী বন্ডকে হাতিয়ার করে আসলে নেমেছে আম আদমি পার্টি। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পর দিল্লির মন্ত্রী অতীশি শরৎ রেড্ডির নির্বাচনী বন্ডে অর্থ প্রদানের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এই নির্বাচনী বন্ডের তথ্য থেকে স্পষ্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ক্ষমতাসীন বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। তিনি আরও বলেছেন, টাকা তোলার যে অভিযোগ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছিল তা আদতে বিজেপি করছে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ তুলেছে।
নির্বাচনী বন্ডের তথ্য বলছে ৫৭ শকাংশ ২০২২ এর নভেম্বর থেকে ২০২৩ এর নভেম্বরের মধ্যেই অর্জন করা হয়েছিল। অন্যদিকে অরবিন্দ ফার্মার আয় ২০২৩ এ ২৪০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। যদিও অরবিন্দ ফার্মা দেশের শীর্ষ স্থানীয় সংস্থাগুলির মধ্যে একটি।