গত ৩০মে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সপ্তোদশ লোকসভা নির্বাচনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। আরও একবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহ করলেন নরেন্দ্র মোদী, এবং তাঁর নব নির্বাচিত মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যেই কোন মন্ত্রী কোন দফতর সামলাবেন, তার নির্ধারণ করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে আবার উঠল ভুয়ো ডিগ্রি প্রদর্শনের অভিযোগ।
মোদীর নতুন এই মন্ত্রীসভায় মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। কিন্তু তাঁরই বিরুদ্ধে উঠছে ভুয়ো ডিগ্রির অভিযোগ। প্রসঙ্গত, মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের অন্তুর্গত হল, শিক্ষা দফতর। এই শিক্ষা দফতরের দায়িত্বে আগে ছিলেন প্রকাশ জাভড়েকর। আর এবার তাঁর হাত থেকে শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব যাচ্ছে রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক-এর হাতে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যাঁর কিনা নিজের ডিগ্রির কোনও সত্যতা যাচাই করা নেই, সেই তিনিই কিনা সামলাবেন শিক্ষা দফতরের ভার?- সম্প্রতি এই প্রশ্নেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
দুবারই শপথ গ্রহণে একই রংয়ের পোশাক মোদীর! এর পিছনেও কি রহস্য রয়েছে
প্রথম দিনেই জোড়া ধাক্কা, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই জোড়া চ্যালেঞ্জের মুখে মোদী
প্রসঙ্গত, রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক নিজের নামের আগে ‘ডক্টর’ উপাধি ব্যবহার করেন। তাঁর কথায়, ৯০-এর দশকে কলোম্বোর আন্তর্জাতিক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে তিনি ‘ডক্টর’ উপাধি লাভ করেন। এবং এরপর কয়েক বছর আগে তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকেই বিজ্ঞানে তিনি সাম্মানিক ডিলিট উপাধি লাভ করেন। এই প্রসঙ্গে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন অব শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে, শ্রীলঙ্কায় আন্তর্জাতিক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোনও রেজিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ই নেই। শুধু তাই নয়, তাঁর জন্মপঞ্জি এবং স্কুলের সার্টিফিকেটে তারিখের কোনও মিল নেই, এমন অভিযোগও উঠেছিল। গত বছর দেরাদুনে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দেরাদুনা আরটিআই করা হলে, তার ফলও অসম্পূর্ণ এসেছে। আর এরপরই তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা আদৌ কতখানি সঠিক তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।