বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতে যান কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর ও রেল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা দীর্ঘ সময় বৈঠক করেন। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই আলোচনায় বসেন কেন্দ্রের তিন মন্ত্রী। গতকাল কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের বিস্তারিত বিরণ অমিত শাহকে দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। আগামিকাল বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠকে সববে সরকার। সূত্রের খবর গতকালের বৈঠকেই কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিতে হবে সরকারকে।
অন্যদিকে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে ক্রমশই আক্রামণ শানাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এদিনও নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে শ্যুটেড বুটেড সরকার বলে কটাক্ষা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। নাম না করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, বলেছিলেন কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। আর তাঁর বন্ধুবান্ধবদের আয় চারগুণ করে কৃষকদের আয় অর্ধেক করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মিথ্যা, লুঠেরা আর শ্যুটেড বুটেড সরকার করেই কটাক্ষ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সোশ্য়ায় মিডিয়ায় হিন্দিতে ট্যুইট করেন রাহুল। আর সেই বার্তা জল কামান দিয়ে কৃষকদের আন্দোলন প্রতিহত করছে দিল্লি পুলিশ- তেমনই একটি ভিডিও দেন।
বিজেপির কৃষকপন্থী ভাবমূর্তি কি ধাক্কা খাচ্ছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক বৃহস্পতিবার ..
ফাইজারের টিকায় ছাড়পত্র ব্রিটেনের, আগামী সপ্তাহ থেকেই করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু ...
দিল্লির কৃষক আন্দোলনে ক্রমশই কপালে ভাঁজ পড়ছে কেন্দ্রের বিজেপির নেতা মন্ত্রীদের। মঙ্গলবার কৃষকদের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘ বৈঠক হলেও কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি। সরকারের দেওয়া কমিটি গঠনের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে কৃষকরা অবস্থান বিক্ষোভে অনড় রয়েছে। একটি সূত্র বলছে এতদিন হরিয়ানা ও পঞ্জাবের কৃষকদের মধ্যেই এই বিক্ষোভ সীমাবদ্ধ ছিল। এবার সেই অবস্থান বিক্ষোভকে যোগ দিয়ে পারে হিমালচল প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশের কৃষকরা। নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহেরর দাবিতে টানা সাত দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তবে কৃষকরা যেখাবে খাবার, জামাকাপড়, বালিশ কম্বল নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তাতে কিছুটা হলেও স্পষ্ট হচ্ছে যে খুব সহজে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না।