দেশে বেড়েই চলেছে সংক্রমণে আক্রান্তদের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের আওতায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টারাও বলছেন মাস্ক পরে আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই করোনার মোকাবিলা করা সম্ভব। কিন্তু এদেশের গরিব মানুষেরা কোথায় পাবেন মাস্ক? বিশেষ করে ত্রাণ শিবিরে যারা রয়েছেন তাঁদের কারোরই মাস্ক কেনার সামর্থ্য নেই। আর সেজন্য এবার স্বয়ং মাস্ক সেলাই করতে নামলেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ।
করোনাকে হারাতে সামাজিক দূরত্বের পাঠ শিখিয়েছে গ্রামীণ ভারত, পঞ্জায়েত দিবসে মোদীর মুখে নতুন স্তুতি
ফের নজির গড়ল উত্তর-পূর্ব ভারত, এবার করোনা ফ্রি রাজ্য হল ত্রিপুরা
করোনা যুদ্ধ জিতে নজির গড়ে বাড়ি ফিরলেন ৯২ বছরের বৃদ্ধা, হেরে গেল ৪ মাসের ছোট্ট শিশু
গরিব মানুষদের মধ্যে মাস্ক বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লির আর্বান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ড । আর সেই মাস্ক নিজের হাতে তৈরি করছেন দেশের ফার্স্ট লেডি। রাষ্ট্রপতি ভবনের শক্তি এস্টেটে এখন একমনে মাস্ক সেলাই করে চলেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি ভবনের শক্তি এস্টেটে যেন মাস্ক সেলাইয়ের যজ্ঞ চলছে বলা যায়। এখান থেকেই তৈরি হওয়া মাস্ক গরিব মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে বিলি করছে আর্বান শেল্টার ইমপ্রুভমেন্ট বোর্ড। রাষ্ট্রপতি জায়ার মাস্ক সেলাইয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাল মাস্ক পরে সাদা মাস্ক সেলাই করছেন ফার্স্ট লেডি।
এমনিতেই দিল্লিতে সংক্রমণের মাত্রা উদ্বেগজনক। বিশেষত শ্রমিক অধ্যুষিত বস্তি এলাকায় হটস্পটের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। সে জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই মাস্ক বিলি করছে বিভিন্ন সংগঠন।
কিছু দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছিল বাড়িতে সেলাই মেশিনে মাস তৈরি করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবেন্দ্র প্রধানের স্ত্রী আর মেয়ে। এবার সেই তালিকায় চলে এলেন সবিতা কোবিন্দও। আর নিজের হাতে মাস্ক সেলাই করে রাষ্ট্রপতি জাা সমাজকে বার্তাও দিলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে যো কোনও ব্যক্তি করোনাভাইরাস মোকিবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।