এসসিও-তে আবারও সন্ত্রাস দমন নিয়ে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়সঙ্কর। চিন আর পাকিস্তানের সামনেই টেরর ফান্ডিং বন্ধ করার দাবিতে সরব হলেন তিনি।
পাকিস্তান আর চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সামনেই সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করার পক্ষেই সওয়াল করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সন্ত্রাসবাদ আর চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সাংহাই কর্পোরেশ সংস্থা যে উদ্যোগ নিয়েছিল তার মূলই ছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আর্থিক সহযোগিতা না করা। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশান্বেতে একটি অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রীতিমত চড়া সুরেই বক্তব্য রাখেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সর্গেই লাভরভ, চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ওয়াইই, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহম্মদ কুরেশি। সেখানেই তিনি আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন আফগানিস্থানে বর্তমান জনস্বাস্থ্য আর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করাই সবথেকে জরুরি। অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে এই দুটি বিষয় সেখানের জ্বলন্ত সমস্যা বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রশান্ত কিশোর কি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর জল্পনায় শরদ পাওয়ারের নামও
এস জয়শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, দুশান্বেতে সাংহাই কর্পোরেশন সংস্থার উদ্যোগে বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠকে আফগানিস্তান, জনস্বাস্থ্য আর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়গুলি নিয়ে চাপ দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ আর চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করাই বর্তমানে মূল উদ্দেশ্য। সন্ত্রাসের জন্য অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে আর ডিজিটাল সুবিধাকে প্রতিহত করতে হবে। বিদেশ মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন তিনি তাঁর বক্তব্যে এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্যের বার্তাটিও তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দ্রুততার সঙ্গে সকলকে টিকা দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। আগেই এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন এসসিও প্রতিষ্ঠার ২০তম বছর এটি। এই সংস্থাটি বর্তমানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সংস্থার পুনরুদ্ধারেও ভারত জোর দিচ্ছে। আফগানিস্তান আর কোভিড পরবর্তী বিশ্বে এই সংস্থাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে।
বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তান, ৬ চিনা ইঞ্জিনিয়ারসহ নিহত ১০
আফগানিস্থানে মার্কিন সেনা বাহিনী সরে যাওয়ার পর থেকেই সক্রিয় হচ্ছে তালিবানরা। একাধিক হামলার ঘটনাও ঘটেছে। দেশটি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আফগানিস্তানের অস্থির পরিস্থিতি শুধু এশিয়া নয় গোটা বিশ্বকেই উদ্বেগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ন্যাটোর পাল্টা সংস্থা হিসেবে এসসিও আত্মপ্রকাশ করেছে। এই সংস্থার আটটি সদস্য দেশ রয়েছেষ ২০১৭ সাল থেকে ভারত আর পাকিস্তান এই সংস্থার স্থায়ী সদস্য। ২০০১ সালে চিন, রাশিয়া , কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, কাজাখাস্তান, তাজিকিস্তান আর উজবেকিস্তানের রাস্ট্রপতি সাংহাই কর্পোরেশন সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন।