নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ ত্রিপুরায় গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল ভোটমুখী ত্রিপুরা, সিপিএম-কংগ্রেস একজোট হয়ে নিশানা করছে বিজেপিকে ।
একটি গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল ভোটমুখী ত্রিপুরার রাজনীতি। কারণ গণধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ত্রিপুরার মন্ত্রী ভগবান দাসের ছেলের নাম। তাই নিয়ে বিরোধীদের নিশানায় শাসকদল বিজেপি। গণধর্ষণকে কেন্দ্র করে শাসক বিরোধী তরজায় রীতিমত উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ অক্টোবর। উনাকোটি জেলায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ বছরের এক কিশোরীকে নির্যাতন করা হয়। নাবালিকাকে প্রথমে প্রলুব্ধ করে তারই এক বন্ধু। মেয়েটিকে কুমারঘাটের একটি ভাড়া বাড়িতে প্রথমে নিয়ে যায়। সেখানে অবশ্য আগে থেকেই চলছিল পার্টি। সেই পার্টিতে রীতিমত একাধিক তরুণের সামনে পেশ করা হয় কিশোরীকে। সঙ্গে ছিল ঢালাও মদ্যপানের ব্যবস্থা। পুলিশের অনুমান পরিকল্পনামাফিকই মেয়েটিকে পার্টিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর মেয়েটিকে আকণ্ঠ মদ্যপান করিয়ে বেহুঁশ করিয়ে একের পর এক যুবক ধর্ষণ করে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে তারমধ্যে নেই বিজেপির নেতা তথা মন্ত্রী ভগবান দাসের ছেলে। রাজ্যের বিরোধী দল সিপিএম ও কংগ্রেসের অভিযোগ মন্ত্রীর ছেলেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসন নির্লজ্জ চেষ্টা করছে। পাশাপাশি রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে শাসকদল বিজেপির তীব্র নিন্দাও করেছে।
সিপিএম-এর অভিযোগ রাজ্যে মহিলারা আর নিরাপদ নয়। গত কয়েক মাস ধরেই মহিলার বিরুদ্ধে অপরাধ ক্রমশই বাড়ছে এই রাজ্যে। সিপিএম বলেছে, মন্ত্রীর ছেলে এক নাবালিকাকে অপরহণ ও গণধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত। প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে কংগ্রেস দাবি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রীর ছেলের নাম জড়াচ্ছে গণধর্ষণের ঘটনায়। সেই কারণেই এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার মন্তব্য করা উচিৎ। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতারের দাবিও করা হয়েছে।
যদিও বিজেপি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাল্টা জানিয়েছে, নির্যাতিতা তার অভিযোগে মন্ত্রীর ছেলের নাম উল্লেখ করেনি। তাই বিরোধীদের অভিযোগ ধোপে টেকেনি। বিজেপি জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত সমস্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী বছরই ত্রিপুরায় নির্বাচন। আর সেই কারণে এখন থেকেই শাসক বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান ত্রিপুরায় ত্রিমুখী লড়াই হবে। তবে মূল লড়াই অবশ্যই সিপিএম-বিজেপির মধ্যে। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে পিছিয়ে থাকতে নারাজ কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসও দাপট দেখাতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন
দেনা পরিশোধের জন্য মহিলাদের বিক্রি, খতিয়ে দেখতে রাজস্থানে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল
বন্ধ হতে পারে সরকারি কর্মীদের বেতন! বাংলার ঋণের বোঝা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
পর্যটনের নতুন ঠিকানা, উদ্বোধনের অপেক্ষা বিশ্বের সবথেকে লম্বা শিবমূর্তি - যা রাতের অন্ধকারেও দেখা যায়