প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিনিয়র মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ভারতের কিছু অংশে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার বর্ষীয়ান মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সাথে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পিএমও এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
পিএমও জানিয়েছে, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিনিয়র মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ভারতের কিছু অংশে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দলগুলি ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লি সহ দেশের বেশ কয়েকটি অংশ রবিবার ভারী বৃষ্টির কারণে প্লাবিত হয়েছে। এরই সঙ্গে দেখা দিয়েছে জলমগ্ন পরিস্থিতি।
পঞ্জাব এবং হরিয়ানার অনেক অংশে, সোমবার টানা তৃতীয় দিনের জন্য ভারী বৃষ্টির কারণে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সকাল থেকেই পঞ্জাব ও হরিয়ানার অনেক জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। হরিয়ানা এবং পঞ্জাবের কিছু ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় প্রশাসন ইতিমধ্যে স্কুলগুলির জন্য ছুটির আদেশ জারি করেছে। পঞ্জাবের অনেক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। রাজপুরা শহরের সুতলজ যমুনা লিঙ্ক (এসওয়াইএল) খালের জলের স্তর উপচে পড়ার কারণে পাতিয়ালা জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি বিপর্যস্ত, শত শত মানুষ আটকে পড়েছে
হিমাচল প্রদেশে রবিবার 'ভারী থেকে অতি ভারী' বৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যা হয়েছে। এ সময় অনেক এলাকা তলিয়ে যায়, রাস্তাঘাট, যানবাহন ও ঘরবাড়ি ভেসে যায় এবং ছয়জনের মৃত্যু হয়। রাজ্য সরকার দুই দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির পরে, চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়ক সহ ৭৬৫টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। লাহৌল-স্পিতির চন্দ্রতাল এবং সোলান জেলার সাধুপুল সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে শত শত মানুষ আটকা পড়েছে। ৩০টির বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাভি, বিয়াস, সতলেজ, সোয়ান ও চেনাবসহ সব বড় নদীর জলস্তর বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
দিল্লিতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে
দিল্লিতে যমুনার জল ২০৪.৫ মিটার সতর্কতা স্তর অতিক্রম করেছে, বন্যার সাথে নিচু এলাকাগুলিতে রীতিমত ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ১০৭ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকালে রাস্তা ডুবে থাকার কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। সোমবার জলমগ্নতার কারণে প্রগতি ময়দান টানেলটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন