করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে। ভারতেও দিনে দিনে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন এই ভাইরাসকে কীভাবে মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তের গবেষকরা। প্রতিষেধক বানাতে গবেষণা চালাচ্ছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও। তবে যতদিন না ওষুধ আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন কীভাবে চিকিৎসা চলবে তা ভাবাচ্ছে সকলকে। এই বিষয়ে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। করোনা আক্রান্ত রোগীর অবস্থা খুব খারাপ বলে তাঁকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সি-ক্লোরোকুইন দেওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি রাজস্থানের জয়পুরে তিন করোনা আক্রান্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলা হয়েছিল। চিকিৎসকদের দাবি ছিল সোয়াইন ফ্লু, ম্যালেরিয়া ও এডসের ওষুধ মিষিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছিল আক্রান্তদের। যদিও তিন ব্যক্তির মধ্যে পরে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এদিকে এখনও বিশ্বজুড়ে করোনার কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় রোগীদের বাঁচাতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতি মুহুর্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে সবার আড়ালে থেকে একদল মানুষ দিনরাত খেটে করোনাভাইরাসের প্রতিষোধক তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। যদিও প্রতিষেধক তৈরি করতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ দেওয়ার অনুমত দিয়েছে জর্ডন সরকার।
লকডাউনে কথা শুনছে না জনতা, বাগে আনতে এবার পঞ্জাবে জারি হল কারফিউ
করোনা আতঙ্কে লকডাউন রাজধানী, সুপ্রিম কোর্টে চলছে ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি
গত ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন মুলুকে করোনা প্রাণ কাড়ল শতাধিক, সব ভুলে কিমের প্রশংসায় ব্যস্ত ট্রাম্প
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরালের পাশাপাশি, ম্যালেরিয়ার ওষুধ 'হাইড্রোক্সি-ক্লোরোকুইন' ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জর্ডান প্রশাসন। কেবলমাত্র গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের জর্ডানের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’। তবে হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের ব্যবহার বা প্রয়োগ সম্পর্কে সতর্ক করলেন জর্ডানের বিজ্ঞানীরা।
জর্ডানের এফডিএ-র প্রধান ডঃ হাই ওবেইদাত একটি রিপোর্টে জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর সংস্থা হাইড্রোক্সাক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেও আইনের ভিত্তিতে এটি অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ডঃ ওবেইদাত আরও জানান, এই ওষুধ কোনও ভাবেই করোনাভাইরাসের মতো মারণ রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি যখন দ্বিতীয় পর্যায় পৌঁছোবে, একমাত্র সে ক্ষেত্রেই এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। ভরতেও এই অষুধের প্রয়োগে সুফল মিলছে।
এর আগে ম্যালেরিয়ার ওষুধ দিয়ে করোনার চিকিৎসার আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লেখেন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মিশ্রণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এরপর এই দুই ওষুধের মিশ্রণ দিয়ে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও এই ওষুধকে অনুমোদন করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।